সুদানে দুই বাহিনীর সংঘর্ষের নেপথ্যে কী

সুদানে দুই বাহিনীর সংঘর্ষের নেপথ্যে কী

সংগৃহীত

সুদানের সেনাবাহিনী ও দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়েছে। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, সেনাপ্রধানের বাসভবন ও খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে আধা সামরিক বাহিনীটি। যদিও সেনাবাহিনী এই দাবি প্রত্যাখান করে আরএসএফকে বিদ্রোহী আখ্যা দিয়েছে।

বেশ কয়েকদিন উত্তেজনার পর শনিবার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। স্বভাবত প্রশ্ন উঠেছে সংঘর্ষের নেপথ্যে কী। 

বিবিসির খবর অনুসারে, সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে সার্বভৌম পর্ষদ ২০১৯ সাল থেকে সুদানে ক্ষমতায় রয়েছে। ক্ষমতাসীন এই পর্ষদে উপ প্রধান হিসেবে রয়েছেন জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর।

বেসামরিক রাজনৈতিক দলগুলো সম্প্রতি সেনাবাহিনী ও আরএসএফের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রাথমিক চুক্তি সই করেছে। এটা সামনে রেখে প্রায় ১ লাখ আরএসএফ সদস্যকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিন্তু এটার পর সেনাপ্রধান কে থাকবেন সেটা নিয়েই মূলত দ্বন্দ্ব। 

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বেসামরিক সরকার গঠনের অংশ হিসেবে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, আরএসএফকে দুই বছরের মধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা হবে। কিন্তু আরএসএফ বলছে এই একীভূত করণের প্রক্রিয়া যেন অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়।

এছাড়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফকে একীভূত করলে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব কে দেবে এ নিয়েও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।

দুই বাহিনীর দ্বন্দ্ব গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসে, বিশেষ করে মেরোবি শহরে আরএসএফ সদস্য মোতায়েন করা হয়। এই মোতায়েনকে বেআইনি আখ্যা দেয় সেনাবাহিনী। শনিবার মেরোবিতে ব্যাপক গোলাগুলি হয় বলে রয়টার্সকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে আরএসএফ সুদানের দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করে। 

এদিকে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে কয়েক দিন ধরে চলা উত্তেজনা সংঘাতে রূপ নেওয়ায় সামরিক অভ্যুত্থানের পর সুদানে বেসামরিক শাসনে ফেরার দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।