সুদানে সেনাবাহিনী-প্যারা মিলিটারি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৫৬

সুদানে সেনাবাহিনী-প্যারা মিলিটারি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৫৬

সংগৃহীত

সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির প্যারা মিলিটারি গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৬০০ জন। নিহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক।

রবিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ক্ষমতা দখলে নিতে সুদানের সেনাবাহিনী ও কুখ্যাত আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছে। উভয়ই (সেনাবাহিনী এবং র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস-আরএসএফ) দাবি করেছে যে, খার্তুমের বিমানবন্দর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেখানে রাতভর লড়াই চলেছিল।

সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্যারা মিলিটারির প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর বাহিনীর সঙ্গে কোনো সমঝোতা কিংবা সংলাপ হবে না। প্যারা মিলিটারিকে ভেঙে দিতে হবে। তাহলে সংলাপ হতে পারে।  

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো পলাতক অপরাধী। নাগরিকদের আমরা তাদের সঙ্গে কোনো বোঝাপড়া না করার আহ্বান জানাই। তার কিংবা তার বাহিনীর দেখা পেলে রিপোর্ট করতেও বলা হয়েছে।  

এদিকে সুদানের রাজধানী খার্তুমে রোববার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার্থে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বেসামরিক সরকার গঠনের অংশ হিসেবে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, আরএসএফকে দুই বছরের মধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা হবে। কিন্তু আরএসএফ বলছে এই একীভূত করণের প্রক্রিয়া যেন অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়।

এছাড়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফকে একীভূত করলে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব কে দেবে এ নিয়েও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।

সূত্র : গার্ডিয়ান।