টানা তাপদহে হিটস্ট্রোকে প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকার মাছ মারা গেছে

টানা তাপদহে হিটস্ট্রোকে প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকার মাছ মারা গেছে

টানা তাপদহে হিটস্ট্রোকে প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকার মাছ মারা গেছে

স্মরণকালের টানা তাপদহে পাবনার ফরিদপুরে বদ্ধ জলাশয়ে প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকার মাছ হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়ায় মাছ চাষিদের মাথায় হাত। উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়নের আগপুঙ্গলী এবং দত্তপুঙ্গলী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদ মাষ্টার, সুকুমার হলদার, বিউল ইসলাম, রকিবুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, দত্তপুঙ্গলী গ্রামের কবির হোসেন, কামরুল হোসেনসহ ১৭ জন চাষির ৪৮৪টি খাঁচায় এ বিপুল পরিমান মাছ মারা যায় বলে মৎস্য বিভাগ জানিয়েছেন।

তারা বড়াল নদীতে খাঁচা স্থাপন করে প্রায় ৮ বছর ধরে মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ চাষ করে আসছেন। টানা দাবদহে গত এক সপ্তাহ ধরে এ মড়কে  প্রায় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মৎস্য চাষিদের দাবি। প্রচন্ড গরমে খাঁচাগুলোতে প্রচুর গ্যাস জমে অক্সিজেন কমে যাওয়ায় হিটস্ট্রোকে এসব মাছ মারা গেছে বলে মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিরা জানান, তারা মাছের পোনা খাঁচায় ছেড়ে ৪ মাস অন্তর প্রতি খাঁচা থেকে প্রায় ১০ মণ মাছ আহরণ করতেন। প্রতিমণ প্রায় ৬ হাজার টাকায় পাইকারি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতেন। এ হিসেবে তাদের প্রায় পৌনে তিন কোটি মূল্যের মাছ মারা গেছে। ২১ এপ্রিল থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত তাদের সব মাছ মারা গেছে বলে ভূক্তভোগিরা জানানখাঁচায় মাছচাষ সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, মাছের খাবার বাবদ জনপ্রতি ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত  দোকানে বাকি। এখন তা পরিশোধ করা নিয়ে বড় ধরণের সমস্যায় পড়ে গেলাম।

১০০টি খাঁচায় মাছচাষ করা লঙ্কা হলদার বলেন, আমরা সবাই গরিব মাছচাষি। এ দিয়ে সংসার চালাতাম। এখন আমরা কী খেয়ে বাঁচবো।পাবনার ফরিদপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন,‘ প্রবাহমান পানির ব্যবস্থা না থাকায় অতিরিক্ত গরমে খাঁচাগুলোতে প্রচুর গ্যাস হওয়ার কারনে অক্সিজেন কমে যাওয়ায় হিটস্ট্রোকে মাছগুলো মারা গেছে।