নাঙ্গলকোটে যুবলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, ককটেল গুলি
প্রতীকী ছবি
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের কারণে বর্ধিত সভা পণ্ড হয়ে যায়। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা যুবলীগ কার্যালয় ও উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান শাহীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল খায়ের, আব্দুল সোবহান খন্দকার সেলিমসহ জেলার নেতারা।
দলের নেতাকর্মীরা জানান, শনিবার বিকেলে যুবলীগ নেতা ও নাঙ্গলকোট পৌর কাউন্সিলর জহির উল্লাহ সুমনের নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে বর্ধিত সভায় যাওয়ার পথে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র আবদুল মালেকের সমর্থকরা স্থানীয় পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতাল মোড়ে মিছিলে বাধা দেন।
এতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে সভাস্থলে প্রবেশ নিয়ে দুই পক্ষ আবার বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক একটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে ফের হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লে এক রাউন্ড গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান শাহীন দাবি করেন, বর্ধিত সভাস্থল একটি গোডাউন এবং বদ্ধ ঘর হওয়ার কারণে বর্ধিত সভা বাতিল করা হয়েছে।