রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

সংগৃহীত

২৭৫ রানের লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ড ৫০ ওভারে আটকে গেছে ৯ উইকেটে ২৭১ রানেই।  প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে ২-০ ব্যবধানে বিশ্বকাপ সুপার লিগের শেষ সিরিজটিও জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।  

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং নামে তামিম ইকবালের দল। আগে ব্যাট করতে নেমে ২৭৪ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই স্টিভেন ডোহেনিকে হারানোর পর দারুণ জুটি গড়েছেন পল স্টার্লিং ও অ্যান্ড্রু বালবার্নি। তবে টাইগারদের আগ্রসী বোলিংয়ে দ্রুত এ দুই জনকে হারিয়ে চাপে পরে আইরিশরা।

২৭৪ রানের পুঁজি নিয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং শুরু করে টাইগাররা। আয়ারল্যান্ডের ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিতে থাকে। প্রথম ৫ ওভারে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেনি আইরিশ ব্যাটাররা। লেগ বাই থেকে এসেছে শুধু একটি চার। তবে শুরু থেকে আঁটসাঁট বোল করা মুস্তাফিজ- সাফল্য পেলেন ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে। 

তার করা ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে  অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন ডোহেনি। ১৬ বলে করেন ৪ রান আয়ারল্যান্ডের ওপেনার। ফলে ১৭ রানে ভাঙল উদ্বোধনী জুটি। 

এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। তাকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন পল স্টার্লিং। টাইগার বোলারদের সুযোগ না দিয়ে রানের গতি বাড়াতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৮ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন স্টার্লিং। স্টার্লিংয়ের পর ৭১ বলে ফিফটি পূরণ করেন বালবির্নি। 

তবে বালবির্নি অর্ধশতক করে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেনি উইকেটে। দলীয় ১২৬ রানে ইবাদতের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই আইরিশ অধিনায়ক। ৭৮ বলে করেন ৫৩ রান। এরপর উইকেটে বেশিক্ষন থাকতে পারেনি বালবির্নিকে সঙ্গ দেওয়া স্টার্লিংও। তৃতীয় জুটিতে ২০ রান তুলতেই-দলীয় ১৪৬ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। ৭৩ বলে করেন ৬০ রান।

এরপর উইকেটে এসে কোনও আইরিশ ব্যাটার ভীত গড়তে পারেননি। ৩ উইকেটে ১৪৬ রান করা ইনিংস- ২৪২ রান করতেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। ফলে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে যায় বালবার্নির দল। আর শেষ ওভারে আইরিশদের যখন লাগে ১০ রান, তখন হাসান মাহমুদের দূর্দান্ত বোলিংয়ে ৫ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। এতেই ২-০ জয়ে  সিরিজট নিজেদের করে নেয় সাকিব-মুশফিকরা। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান