মুজিববর্ষে শেরপুরে একলাখ বৃক্ষরোপণ করা হবে

মুজিববর্ষে শেরপুরে একলাখ বৃক্ষরোপণ করা হবে

ছবি সংগৃহিত।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২০২০ সালে ঘোষিত মুজিববর্ষে শেরপুর জেলায় একলাখ বৃক্ষরোপণ করা হবে।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বছরব্যাপী জেলার বিভিন্ন স্থানে এসব বৃক্ষরোপন করা হবে। প্রত্যেক উপজেলা চত্বরে নির্মাণ করা হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা হবে। এছাড়াও একশ’ শিক্ষিত বেকার যুবককে ফ্রি-ল্যান্সার প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় স্থানীয়ভাবে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব-এর সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ প্রস্তুতিসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক।
প্রস্তুতিসভায় স্থানীয়ভাবে গৃহিত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরব্যাপি সেমিনার আয়োজন এবং প্রতিমাসে দু’টি করে উদ্দীপনমূলক ক্যারিয়ার গাইড প্রশিক্ষণ প্রদান।এছাড়া ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বছরব্যাপি গ্রামীণ খেলাধুলা, বিতর্ক, ক্যুইজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
সভায় হুইপ আতিক জানান, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মুজিববর্ষে শহরের থানা মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ম্যুরাল নির্মাণ করে সেই স্থানটিকে ‘বঙ্গবন্ধু স্কোয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এজন্য সেখানে ইতোমধ্যে জমি কেনা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এ.টি.এম জিয়াউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু, সদর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আতিউর রহমান মিতুল, জেলা তথ্য অফিসার তাহলিমা জান্নাত, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, মুক্তিযোদ্ধা মো. সুরুজ, তালাপতুপ হোসেন মঞ্জু, সাংবাদিক শরিফুর রহমান, সঞ্জিব চন্দ বিল্টু, হাকিম বাবুল প্রমুখ।
সভায় জেলার পাঁচ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও শিক্ষকসহ শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।