২০০০ টাকার নোট কেন বাজার থেকে তুলে নিল ভারত?

২০০০ টাকার নোট কেন বাজার থেকে তুলে নিল ভারত?

২০০০ টাকার নোট কেন বাজার থেকে তুলে নিল ভারত?

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২০০০ টাকার (রুপি) নোট আগামী দিনে ইস্যু করতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ব্যাংক থেকে গ্রাহককে আর ২০০০ টাকার নোট দেয়া হবে না।

যদিও আরবিআই স্পষ্ট জানিয়েছে, ২০০০ টাকার নোটের সার্কুলেশন বন্ধ করতে বললেও এই নোটের আইনি বৈধতা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। অর্থাৎ এই নোট ব্যবহার পুরোপুরি বৈধ থাকছে। তবে আবেদন করা হয়েছে, কারো কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলে তা তারা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাংকে গিয়ে জমা করতে পারবেন অথবা পাল্টে নিতে পারবেন।

এখন প্রশ্ন উঠছে, চালু করার সাড়ে ছয় বছর পরে কেন ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে সরিয়ে ফেলছে আরবিআই?আরবিআই ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ২০০০ টাকার নতুন ব্যাংক নোট বাজারে আনে। তার আগে নভেম্বরের শুরুতে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট কেন্দ্রীয় সরকার বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায়।

১৯৩৪ সালের আরবিআই আইনের ২৪(১) ধারা অনুযায়ী কারেন্সি রিকোয়্যারমেন্ট অর্থাৎ বাজারে নোটের চাহিদা মেটাতে এবং অর্থনীতিকে সচল রেখে এগিয়ে নিয়ে যেতে পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর ২০০০ টাকার নোট বাজারে আনে আরবিআই। মূল লক্ষ্য ছিল একটাই- বাজারে ব্যাংক নোটের কোনো ঘাটতি যেন না থাকে।

তবে ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাজারে আসার পরে ২০১৮-১৯ সালের মধ্যেই ২০০০ টাকার নোটের ছাপানো বন্ধ করে দেয়া হয়। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, বাজারে যে ২০০০ টাকার নোটগুলো রয়েছে, তা বেশিরভাগই ২০১৭ সালের মার্চ মাসের আগে ইস্যু করা। এবং সেগুলোর ভালো থাকার যে চার-পাঁচ বছরের সময়সীমা রয়েছে তা ইতোমধ্যে পার করে গেছে।

একইসাথে আরবিআই লক্ষ্য করেছে, ২০০০ টাকার নোট বাজারে আনলেও তার ব্যবহার খুব বেশি হচ্ছে না। একইসাথে দেখা যাচ্ছে, বাজারে ৫০০, ২০০, ১০০ এবং অন্যান্য মূল্যের যে নোট রয়েছে তা নগদের চাহিদা সামাল দিতে সক্ষম। ফলে একদিকে দুই হাজারের নোট বাজার থেকে তুলে নিলেও যেমন বাজারের চাপ পড়বে না, তার পাশাপাশি ক্লিন নোট পলিসি, যে নীতি আরবিআই মেনে চলছে, তাতে ২০০০ টাকার নোট যেগুলো ইস্যু করা হয়েছিল তারও লাইফ স্প্যান বা ভালো থাকার সময় শেষ হয়ে এসেছে। এই দুটি কারণে মূলত আরবিআই বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে দিচ্ছে।

ক্লিন নোট পলিসি অনুযায়ী, আরবিআই খেয়াল রাখে, বাজারে যে নোটগুলো বর্তমানে আদান-প্রদান হচ্ছে, তার কোয়ালিটি যেন ভালো থাকে। অর্থাৎ নোংরা বা ছেড়া বা অব্যবহারযোগ্য নোট যাতে বাজারে বেশি না থাকে তা খেয়াল রাখে আরবিআই। আর তা করতে গিয়েই এই নোট তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া