অপহরণের ২৫ দিন পর তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার

অপহরণের ২৫ দিন পর তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার ৩ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার এবং অপহরণ চক্রের মূলহোতাসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সৈয়দ হোসেন প্রকাশ ওরফে সোনালী ডাকাত ও এমরুল করিম ওরফে ফইরা। এ নিয়ে এ ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার হলো। 

এর আগে টেকনাফ থানা পুলিশ টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা মো. শফি ও মো. আরাফাতকে গ্রেফতার করে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুক্তি পনের টাকা না পেয়ে তিন জনকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। 

এর আগে বুধবার (২৪ মে) বিকেলে টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব ও পুলিশের দুটি টিম।
নিহতরা হলেন, ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল, কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান। তারা তিনজনই বন্ধু।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অপহৃত ৩ বন্ধু গেল ২৮ এপ্রিল টেকনাফে বিয়ের পাত্রী দেখতে যান। পথিমধ্যে বাহারছরা ইউনিয়নের রাজারছরা এলাকায় তাদের সিএনজি গাড়ি থামিয়ে একদল অপহরণকারী পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের ভিডিও পাঠায়। ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি সংস্থায় যোগাযোগ রক্ষা করে। কিন্তু গহীন জঙ্গল এবং অপহরণকারীরা বার বার স্থান পরিবর্তন করায় তাদের উদ্ধার এবং জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। এ বিষয়ে অপহতদের আত্মীয় স্বজনেরা তাদের উদ্ধারের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছিল। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব অধিনায়ক জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করে র‌্যাব। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। অপহরণের কিছু দিন পর পরই তিন বন্ধুকে হত্যা করে গহীন পাহাড়ে পুতে ফেলে।