উত্তপ্ত মণিপুর, ৪০ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত

উত্তপ্ত মণিপুর, ৪০ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত

সংগৃহীত

ফের উত্তপ্ত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর। গত কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেশটির এ রাজ্যে, আজও তীব্র সংঘাত চলছে। সেখানে প্রায় ৪০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যম এ তথ্য দিয়েছে।

রোববার (২৮ মে) মণিপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এম-১৫ এবং একে-৪৭ এর মতো মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করেছে জনগণের বিরুদ্ধে। সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করেছে তারা। একাধিক গ্রামে বাড়িঘর পুড়িয়েছে। এমনকি ভাঙচুর চালিয়েছে স্থানীয় মন্ত্রীর বাড়িতেও। ভারতের সরকারি সেনাবাহিনী স্থানীয় অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। গত ৮ ঘণ্টা ধরে চলছে এই লড়াই। রাতভর অভিযানে ৪০ জন জঙ্গিকে গুলি করে খুন করা হয়েছে।

জানা গেছে, শান্তি ফেরানোর জন্য চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তার জেরেই শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। এখনও অভিযান চালাচ্ছেন সেনা সদস্যরা।

মেইতে জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী অন্তর্ভুক্তিসংক্রান্ত আদালতের এক আদেশের বিরোধিতা করে গত ৩ মে রাজ্যটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। তা শেষ পর্যন্ত সহিংসতায় রূপ নেয়।

মণিপুরে মেইতে জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ, তবে তারা আদিবাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত নয়। এ কারণে রাজ্যের আইন অনুযায়ী তারা পাহাড়ের স্থায়ী বাসিন্দার সুবিধা ভোগ করতে পারছে না।

কুকি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলা সংঘর্ষে এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন প্রায় ৭০ জন। বেশ কিছুদিন ধরে সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। বহু মানুষ ঘরছাড়া।

ইম্ফলের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ফায়েঙে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে তারা খবর পেয়েছেন। হাসপাতালে ২৭ বছরের এক কৃষকের মরদেহও আনা হয়েছিল। বিষেনপুরের বাসিন্দা তিনি। নাম খুমান্থেম কেনেডি। তার স্ত্রী এবং শিশুসন্তান রয়েছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, আরও অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে।

আগামীকাল মণিপুর সফরে যাচ্ছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতোমধ্যে সে রাজ্যের ‘শান্তি মিশনে’ রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।