কাঠফাটা গরমে নাজেহাল পশ্চিমবঙ্গ

কাঠফাটা গরমে নাজেহাল পশ্চিমবঙ্গ

সংগৃহীত

কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ। ভয়ংকর দাবদাহে পুড়ছে রাজ্যের প্রায় সব জেলা। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল থেকেই কাঠফাটা গরমে নাজেহাল মানুষ। একদিকে প্রখর রোদ, সঙ্গে গা জ্বালা ভাব। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের চোখরাঙানিও আরও বেড়ে চলেছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী সোমবার (১২ জুন) পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। সঙ্গে বজায় থাকবে আদ্রতাজনিত অস্বস্তিও। ফলে অস্বস্তিকর গরম থেকে খুব শিগগির রেহাই পাওয়ার সম্ভবনা কম।

কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এ সপ্তাহে তীব্র দাবদাহে পুড়বে গোটা রাজ্য। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, দুই বর্ধমানের মতো এলাকাগুলোতে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে কলকাতা আলিপুর আবহাওয়া অফিস।

দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে চলবে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা বেশ খানিকটা বাড়বে পাহাড়ি এলাকা কালিম্পং ও দার্জিলিংয়ে।

কলকাতায়ও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। বৃহস্পতিবার শহরটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস হলেও আর্দ্রতা বেশি থাকায় তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্ৰি সেলসিয়াসের মতো মনে হতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ দশমিক ৯ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস। এদিন কলকাতার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে সর্বোচ্চ ৮৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩৪ শতাংশ।

কলকাতায় গরমের তীব্রতা বর্তমানে এতটাই বেশি যে, শহরে পর্যটকদের দেখা মেলা ভার। এমনকি কলকাতার বুকে ‘এক টুকরো বাংলাদেশ’খ্যাত নিউমার্কেট এলাকাও সকাল থেকেই সুনসান।

নিউমার্কেট চত্বরের হোটেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জামিল বলেন, উড়িষ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনার ফলে বাংলাদেশি পর্যটক কিছুটা কম। যারা রয়েছেন, তারা বেশিরভাগই চিকিৎসার জন্য এসেছেন। তাছাড়া, গরমের সময় বাংলাদেশের পর্যটক একটু কমই থাকে কলকাতায়।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ বছর কিছুটা দেরি করে বর্ষা আসবে পশ্চিমবঙ্গে। তবে সেটি কবে প্রবেশ করবে তা জানানো হয়নি।