জাবি ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে পুলিশ সদস্য আটক

জাবি ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে পুলিশ সদস্য আটক

ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে মেহদুদ হারুন (২৫) নামে এক পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। মেহমুদ হারুন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত বলে জানা গেছে। তিনি সাভারের রাজশন এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। 

রবিবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনের মোড়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে শিক্ষার্থীরা। তার কাছে পরিচয়পত্র, একটি হ্যান্ডকাফ ও একটি ওয়াকি-টকি জব্দ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের মোড় ও মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন রাস্তায় এক নারী শিক্ষার্থীকে খারাপ প্রস্তাব ও হেনস্তা করে দুইজন বহিরাগত। পরবর্তীতে নারী শিক্ষার্থী মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীদের জানান এবং তারা একজনকে আটক করেন। এ সময় তার সাথের জন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আটককৃত বহিরাগতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কাছে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, আটককৃত মেহমুদ হারুন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল পদে কর্মরত। তিনি ২০২০ সালে চাকরিতে জয়েন করেন।

সূত্র জানিয়েছে, পলাতক আরেক হেনস্তাকারীর নাম বিদ্যুৎ চৌধুরী। তিনি দিনাজপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। সাভারের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজের সূত্রে এবং একই এলাকায় থাকায় জেরে মেহমুদ হারুনের সাথে তার পরিচয় হয়।

আটককৃত মেহমুদ হারুন বলেন, আমি একা ছিলাম না। আমার সাথে যে ছোট ভাই ছিল সেও জড়িত। তার নাম বিদ্যুৎ চৌধুরী। মূলত তার জন্য আমি ওই আপুটার কাছে মোবাইল নাম্বার চাই। সে পালিয়ে গেছে। 

রাত দেড়টার দিকে আশুলিয়া থানার ৮-১০ জন পুলিশ সদস্য আটককৃত হারুনকে থানায় নিয়ে যান।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনার এক রকম প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত মেহমুদ হারুনের বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় মামলা করব। আর বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। পুলিশ সদস্য হলেও এ ধরনের ঘটনায় তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ বলেন, আমরা আটক কনস্টেবলকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করবে। এছাড়া, পরবর্তীতে বাইরে যেন আমাদের ছাত্রীর কোনো ক্ষতি না হয়, সে নিশ্চয়তা পুলিশ প্রশাসন দেখবে বলে জানিয়েছে।