সাভারে জাবি শিক্ষার্থী-দোকানীদের সংঘর্ষ, আহত ১০

সাভারে জাবি শিক্ষার্থী-দোকানীদের সংঘর্ষ, আহত ১০

সংগৃহীত

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সাভরের একটি বিপণী বিতানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ই জুন) সন্ধ্যার পরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পাশে রাজ্জাক প্লাজার তৃতীয় তলায় মোবাইল মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে। 

আহতের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশেদ ও বাংলা বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের। আহত বাকিদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

রাজ্জাক প্লাজা মার্কোটের ব্যবসায়ীরা জানান, দুই দিন আগে জাবির এক ছাত্রীর মোবাইল ফোন ঠিক করা হয় সিয়াম টেলিকম নামের একটি দোকানে। ফোনটির আঠা ছুটে যাওয়ায় আজ শিক্ষার্থীরা আবার আসে সেই দোকানে। সেখানে দোকানদার ও শিক্ষার্থীর ভেতরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়। পরে সেই শিক্ষার্থী চলে গিয়ে আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসলে মার্কেটের সকল ব্যবসায়ীরা নিচে নেমে হামলা প্রতিরোধ করে। এখন মার্কেট বন্ধ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সাভার পুলিশ ও মার্কেট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সোহেব বলেন, আমাদের এক বান্ধবীর ফোনের প্রোটেকটর গ্লাস লাগাতে দেয় গত পরশু। তখন ফোনটি নিয়ে দীর্ঘ সময় পর একটি গোডাউনে গিয়ে প্রোটেকটর গ্লাস লাগিয়ে আনে মেকানিক। এরপর সেই শিক্ষার্থী ফোন নিয়ে হলে চলে এসে দেখে ফোনের পেছনে নতুন আঠা দেওয়া ও ফোনের ক্যামেরা ঘোলা। স্বাভাবিকভাবে ৯০ হাজার টাকার ফোনের ক্যামেরা ভালো থাকার কথা। তখন সেই শিক্ষার্থীর সন্দেহ হওয়ায় দোকানে গিয়ে বিষয়টি জানালে মেকানিক দোকানদার তাদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি করে। পরে বিষয়টি জেনে ক্যম্পাসের বাকি শিক্ষার্থীরা মার্কেটটিতে গেলে মার্কেটের সব পথ বন্ধ করে দিয়ে ব্যবসায়ীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি আছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ঘটনাটি ঘটার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ সবাই এখানে এসেছে। আলোচনা করে সমাধানে আনার চেষ্টা চলছে৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনে সরাসরি মার্কেটে এসেছি। এখানকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি এখন সমাধান করার চেষ্টা করছি।