জয়ের বিদায়ে ভাঙল ২১২ রানের জুটি

জয়ের বিদায়ে ভাঙল ২১২ রানের জুটি

সংগৃহীত

তামিম ইকবালের জায়গায় ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে দারুণ খেলছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। একপ্রান্তে নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন আক্রমণাত্বক, আর অন্যপ্রান্তে মাহমুদুল ছিলেন ধৈর্য্যের প্রতিমূর্তি হয়ে। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তখনই রহমত শাহর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ধরা পড়েন ১৩৭ বলে ৯ চারে ৭৬ রান করা মাহমুদুল।

ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির অপেক্ষা বাড়ল। ২১৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

মিরপুর শেরেবাংলায় আজ বুধবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত ডানহাতি পেসার নিজাত মাসুদের করা ওভারটির প্রথম বলেই ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের হাতে ধরা পড়েন জাকির হাসান (১)।

তাকে ফেরাতে অবশ্য রিভিউ নিতে হয়েছে আফগানদের। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মাহমুদুল হাসান জয় এবং নাজমুল হোসেন শান্ত জুটি গড়েন। ওয়ানডে স্টাইল ব্যাটিংয়ে ৫৮ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

২০.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর তিন অংক স্পর্শ করে। শান্ত-জয়ের জুটিও একশ ছাড়ায়। ১ উইকেটে ১১৬ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর শান্ত আরও দুর্দান্ত ব্যাটিং শুরু করেন। মাহমুদুলও উইকেট আঁকড়ে তাকে সঙ্গে দিয়ে যাচ্ছিলেন।

অসাধারণ টেস্ট মেজাজের ব্যাটিংয়ে এই তরুণ ওপেনার ১০২ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। শান্ত তখন ৯৮* রানে অপরাজিত। বাকি দুই রান পেতে অনেকটা সময় নেন। ড্রিংকসের পর বাঁহাতি স্পিনার আমির হামজার বলটি কভারে ঠেলে দিয়েই ৯৯ থেকে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান শান্ত। ১১৮ বলে সেঞ্চুরি ছুঁতে তিনি হাঁকান ১৮টি বাউন্ডারি। রহমত শাহর করা ৪১তম ওভারে শান্তর ব্যাট থেকেই আসে ইনিংসের প্রথম ছক্কা। স্কোর ছাড়িয়ে যায় দুইশ। দ্বিতীয় উইকেটে ২১২ রানের জুটি ভাঙে মাহমুদুলের বিদায়ে।