নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো পরিবেশই নেই : জাতীয় পার্টির প্রার্থী

নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো পরিবেশই নেই : জাতীয় পার্টির প্রার্থী

সংগৃহীত

নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো পরিবেশই নেই বললেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগরের পশ্চিম সুবিদবাজারস্থ আনন্দ নিকেতন স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়ে এসব কথা তিনি। এর আগে একই দিন ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, নির্বাচন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে। তাদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

এবার সিলেটে ভোটে নেমেছেন মোট ৩৬৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে লড়ছেন ৮ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)। তবে নির্বাচন বর্জন করেছেন হাত পাখার মাহমুদুল হাসান।

নগরীর ৫৬ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ৩৬০ জন। তবে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার অভিযোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন, তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন ৬ জন ভোটার। ১৯০ কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৭ ভোটকক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে ১৯০ কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ৫৮ কেন্দ্র ঝুঁকিমুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান জানান, সোমবার রাত ১২টার থেকে ৪২ ওয়ার্ডে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ৪২ টিম, পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ১০টিম রয়েছে। প্রতিটি টিমের সঙ্গে রয়েছে ১ প্লাটুন বিজিবি।

রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১৫৫টি কেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি বুথেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রের বাইরেও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মোট এক হাজার ৫৬০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা থেকে ইসি ভোট পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করবে। কোথাও কোনো প্রকার অনিয়ম বা অব্যবস্থাপনা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোনো কেন্দ্রে কেউ গোলযোগ সৃষ্টি বা সহিংসতার চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।