তামাক ক্রয়ের ওপর ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারসহ ৫ দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও কর অফিস ঘেরাও

তামাক ক্রয়ের ওপর ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারসহ ৫ দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও কর অফিস ঘেরাও

ছবি: প্রতিনিধি

তামাক ক্রয়ের ওপর ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, ঋণের নামে ব্রিটিশ-যুক্তরাষ্ট্রের সুদের ব্যবসা বন্ধ ও তামাক চাষিদের জন্য সরকারিভাবে কৃষি ঋণের ব্যবস্থাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে লালমনিরহাট তামাক চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতি।

বুধবার বেলা ১১টায় লালমনিরহাট উপ কর কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়। পরে উপ কর কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করেন তারা।

মানববন্ধন শেষে লালমনিরহাট উপ কর কমিশনারের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপিও দেয় তারা।

তাদের দাবি গুলো হলো- কৃষক/চাষিদের কাছ থেকে তামাক ক্রয়ের ওপর ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, তামাক চাষিদের জন্য সরকারিভাবে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা, বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ প্রত্যাহার করা, তামাক চাষিদের ঋণের নামে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোর সুদের ব্যবসা বন্ধ করা এবং বিদেশে তামাক রপ্তানি সচল রাখা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লালমনিরহাট জেলার মাটি এবং আবহাওয়া তামাক চাষের উপযোগী। এই জেলায় অন্য কোন ফসল ভালো না হওয়ায় এ অঞ্চলসহ দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ তামাক চাষের সঙ্গে জড়িত। এই তামাক বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। পরিবারের ভরনপোষনের পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ জোগায়ে থাকি। এছাড়া এখানে উৎপাদিত তামাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। ফলে আমাদের দেশে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মূদ্রা অর্জিত হয়। এতে দেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্স যুক্ত হয়। কিন্তু বহুজাতিক কোম্পনীর একটি প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো এদেশের সাধারণ গরিব তামাক চাষীদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে সুদের মাধ্যমে দাদণ বা ঋণ দিয়ে একক ভাবে তামাক ক্রয় করে আসছে। তামাক চাষীদের ঋণের নামে ব্রিটিশ আমেরিকার টোব্যাকোর সুদের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। একইসাথে তামাক চাষীদের জন্য সরকারি কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর চক্রান্তে সরকার চলতি অর্থবছর থেকে তামাক ক্রয়ের ক্ষেত্রে  ১০ শতাংশ আয়কর প্রদান চালু করেছে। দেশীয় তামাক কোম্পানীর জন্য ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার করা হলে তারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবে বলে আমরা মনে করি। এছাড়া এই তামাক দেশীয় শ্রমিকবান্ধব বিড়ি শিল্পে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং তামাক চাষী ও বিড়ি শ্রমিকদের স্বার্থে বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমেরিকা ব্রিটিশ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা তামাক চাষীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন তামাক চাষী ও ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক জামিল আক্তার। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক রফিক হোসেন, বিড়ি শ্রমিক নেতা লুৎফর রহমানসহ তামাক চাষী ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ।