ভারতের ‘গোল্ডেন গার্ল অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বর্ষা

ভারতের ‘গোল্ডেন গার্ল অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বর্ষা

ফাইল ছবি

ভারতের মুম্বাইয়ে ‘গোল্ডেন গার্ল অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বর্ষা। সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী রাখী সাওয়ান্ত তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দিয়েছেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও শেয়ার করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ষা।

বিভিন্ন অঙ্গনে তৃণমূল থেকে উঠে আসা সফল নারীদের সম্মাননা দিয়ে আসছে মুক্তি ফাউন্ডেশন। ‘গোল্ডেন গার্ল অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক শিরোনামের এ অনুষ্ঠানে এ বছর বাংলাদেশ থেকে চিত্রনায়িকা বর্ষাকে অভিনয় জগতে তার সফলতার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। একই অনুষ্ঠানে রাখীকেও সম্মাননা দেয়া হয়েছে।

ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায় গাড়ি থেকে নেমেই পাপারাজ্জিদের ক্যামেরাবন্দি হন অভিনেত্রী বর্ষা। পরনে ছিল সাদা কালো শাড়ি। মঞ্চে তাকে পুরস্কৃত করেন বলিউড অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। অনুষ্ঠানে বলিউডের অন্য বড় বড় তারকারাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নারী তারকাদের হাতে বিশেষ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন বর্ষা।

অ্যাওয়ার্ড পেয়ে বর্ষা বলেন, এটা আমার জন্য অবশ্যই গর্বের একটি বিষয়। ভারতীয়রাও আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে খোঁজ-খবর রাখেন। শুধু অভিনয়ই নয়, কর্মক্ষেত্রেও সফলতার জন্য তারা আমাকে এ সম্মাননায় ভূষিত করেছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

এমন প্রাপ্তি প্রসঙ্গে বর্ষা আরও বলেন, এবার অন্য অনেকের সঙ্গে আমাকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। মুম্বাইয়ে আয়োজিত অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মাধ্যমের খ্যাতিমান মানুষেরা ছিলেন।

ঢাকাই সিনেমায় খাদিজা পারভীন বর্ষা অভিনীত বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ২০১০ সালে ইফতেখার চৌধুরীর খোঁজ-দ্য সার্চ চলচ্চিত্রে অনন্ত জলিলের সঙ্গে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। ২০১১ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর অনন্ত জলিলকে বিয়ে করেন খাদিজা পারভিন বর্ষা।

বর্ষার অভিনীত সিনেমাগুলো হলো- হৃদয় ভাঙা ঢেউ, মোস্ট ওয়েলকাম, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, মোস্ট ওয়েলকাম টু, দ্য স্পাই, দিন-দ্যা ডে, কিল হিম।

আর মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘নেত্রী: দ্য লিডার’ নামের একটি সিনেমায়। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। তার সঙ্গে যথারীতি রয়েছেন অনন্ত জলিল। তাকে দেখা যাবে বর্ষার বডিগার্ডের চরিত্রে। সিনেমাটির কাজ এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে।