ইবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক

ইবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক

ফাইল ছবি

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে এক নিয়োগ প্রার্থীর করা অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা নীলকমল পাল স্বাক্ষরিত কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের এক নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

নোটিশে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতি ও অবৈধ লেনদেনের কথা উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের সহকারী পরিচালক নীলকমল পালকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। অভিযোগকারী বিভাগটির শিক্ষক নিয়োগ প্রার্থী মো. শাহবুব আলমের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৭ জুলাই সকাল ১০টায় তাঁকে দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।

 

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে দু’টি প্রভাষক পদের  নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে বোর্ডে থাকা অন্য সদস্যদের সঙ্গে বিভাগটির সভাপতি ড. বখতিয়ার হাসানের মতানৈক্য হয়। তিনি প্রার্থী চূড়ান্তকরণ তালিকায় স্বাক্ষর না করে বোর্ড থেকে বেরিয়ে যান। পরে তিনি বিভাগীয় একাডেমিক কমিটিতে বোর্ডের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেন। সর্বোচ্চ রেজাল্টধারী উল্লেখ করে অভিযোগকারী প্রার্থী শাহবুব আলমকে বাছাইয়ের পক্ষে তিনি মত দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

 

ওই বোর্ডে উপাচার্যের সভাপতিত্বে অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুজ্জামান সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে নিয়োগ নিয়ে দুদকে অনিয়মের অভিযোগ করেন নিয়োগ প্রার্থী শাহবুব আলম। ওই বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই শিক্ষক বর্তমানে বিভাগটিতে কর্মরত রয়েছেন।

 

এ বিষয়ে নীলকমল পাল বলেন, আমি অভিযোগ তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি। তবে অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্যকে এখনও চিঠি দেওয়া হয়নি। অভিযোগকারী শাহবুব আলম বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চ রেজাল্টধারী ছিলাম। এজন্য বিভাগের সভাপতি স্যারও আমাকে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে বোর্ডে তার সঙ্গে সমস্যা হয়। আমাকে বাদ দিয়ে ভিসি স্যার অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। আশা করি দুদকে সঠিক বিষয় উঠে আসবে।’