বাংলাসহ ২০টি ভাষায় অনুবাদ হবে হজের খুতবা

বাংলাসহ ২০টি ভাষায় অনুবাদ হবে হজের খুতবা

বাংলাসহ ২০টি ভাষায় অনুবাদ হবে হজের খুতবা

হজের খুতবা বিশ্বের সকল মুসলমানের কাছেই খুব আগ্রহের। এজন্য এই খুতবার মাধ্যমে তাদের কাছে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দেয়ার দারুণ এক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি সরকার। জানা গেছে- প্রতিবছরের মতো এ বছরও হজের খুতবা বাংলাসহ অন্তত ২০টির বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার হারামাইন ওয়েবাসইট জানিয়েছে, মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির তত্ত্বাবধানে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের কাছে ইসলামের শান্তির বাণী পৌঁছে দিতে খুতবার অনুবাদ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।আগামী ২৭ জুন লাখ লাখ হাজি আরাফা প্রাঙ্গণে অবস্থান করবেন। সেদিন তাদের উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেয়া হবে। এবার খুতবা দেবেন দেশটির সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মোহাম্মদ বিন সাঈদ।

এ প্রসঙ্গে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস বলেন, আরাফার খুতবা হজ মৌসুমের কর্মপরিকল্পনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাদশাহ সালমান প্রকল্পের আওতায় আরাফার খুতবা ও হারামাইনের খুতবা তাত্ক্ষণিক অনুবাদ সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্মার্টফোন ও কম্পিউটার থেকে মানারাতুল হারামাইন (https://manaratalharamain.gov.sa/) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যেকোনো একটি ভাষা নির্বাচন করলে অনুবাদ শোনা যাবে। একইসাথে মানারাতুল হারামাইন মোবাইল অ্যাপ, আল কুরআন চ্যানেল ও আস সুন্নাহ চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারে তা শোনা যাবে। ওয়েবসাইটে বিগত বছরের খুতবা ও এর অনুবাদও পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ১৪৩৯ হিজরি মোতাবেক ২০১৮ সালে জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের তত্ত্বাবধানে পাঁচটি ভাষায় আরাফার খুতবা অনুবাদ প্রকল্প শুরু হয়। ২০২০ সালে বাংলাসহ মোট ১০টি ভাষায় খুতবার অনুবাদ করা হয়। পরের বছর ১৪টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। ১৪৪৪ হিজরি মোতাবেক ২০২৩ সালে ২০টি ভাষায় অনুবাদের প্রস্তুতি নেয়া হলো।মূলত সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে প্রতিবছর নতুন ভাষা অনুবাদ কার্যক্রম যুক্ত করা হচ্ছে। এতে ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি বিষয়ক সুদক্ষ অনুবাদকদের নির্বাচন করা হয়। গত বছর হজের খুতবা বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন মাওলানা শোয়াইব রশীদ মাক্কী।

সূত্র : হারামাইন ওয়েবাসইট ও অন্যান্য