বায়ুদূষণের শীর্ষে জাকার্তা, ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ

বায়ুদূষণের শীর্ষে জাকার্তা, ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ

ফাইল ছবি

বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার ফের শীর্ষ ১০ এ উঠে এসেছে রাজধানী। ১০৭ স্কোর নিয়ে আজ রাজধানীর অবস্থান শীর্ষ ছয় নম্বরে। বায়ুর এই মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক এই তথ্য জানিয়েছে।

আইকিউএয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির স্কোর ১৬৯। পাশাপাশি দ্বিতীয় অবস্থানে ১৩৮ স্কোর নিয়ে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এছাড়া তিন নম্বরে ১২৭ স্কোর নিয়ে চীনের বেইজিংয়ের পর ১২৪ স্কোর নিয়ে শীর্ষ চারে ব্রাজিলের সাও পাওলো এবং পাঁচ নম্বরে ১১৪ স্কোর নিয়ে আছে সৌদি আরবের রিয়াদ।

এদিকে, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার ছয় নম্বরে ঢাকার পর ৯৮ স্কোর নিয়ে শীর্ষ সাত নম্বরে অবস্থান করছে পাকিস্তানের করাচি। পাশাপাশি আট নম্বরে ৯৭ স্কোর নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল এবং নয় নম্বরে ৯৩ স্কোর নিয়ে আছে ভিয়েতনামের হো চি মিং শহর। এছাড়া তালিকার শীর্ষ ১০ এ ৮৬ স্কোর নিয়ে আছে চীনের উহান।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।