যেভাবে সম্মান অর্জন করবেন

যেভাবে সম্মান অর্জন করবেন

ছবি: পেক্সেলস ডট কম

কথা দিয়ে কথা রাখুন

মানুষের কাছ থেকে সম্মান পাওয়ার প্রথম শর্ত কথা দিয়ে কথা রাখা। কাউকে কথা দেওয়া মানে সেই মানুষটা আপনাকে বিশ্বাস করেছেন, আপনার ওপর কোনো কাজের জন্য আস্থা রেখেছেন। সেই ভরসা ধরে রাখা আপনার দায়িত্ব। যত কষ্টই হোক না কেন, চেষ্টা করবেন নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ধরে রাখতে। একান্তই না পারলে সেই কাজের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে দিতে। মোটকথা, যে কাজের জন্য আপনাকে একজন বিশ্বাস করেছেন, সে কাজ যেন আপনার কারণে ভেস্তে না যায়।

যত কষ্টই হোক না কেন, চেষ্টা করবেন নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ধরে রাখতে

অন্যের প্রতি সম্মান দেখান

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘রাজা সবারে দেন মান, সে মান আপনি ফিরে পান।’ ‘আমরা সবাই রাজা’ গানের পঙ্‌ক্তিটি শতবর্ষ পরও কার্যকর। সম্মান পাওয়ার জন্য সম্মান দেওয়াটাও জরুরি। শুধু বয়সে বড় কিংবা উচ্চপদস্থ লোকজনদের বেলায় নয়, চেষ্টা করবেন সবাইকে যথাযথ সম্মান দেওয়ার। এতে আপনার প্রতিও আলাদা করে সম্মান জন্মাবে তাঁদের।

অন্যের মতামতকে সম্মান দিন

অনেকেই আছেন, নিজের মত সামনে তুলে ধরতে লজ্জা পান। তাঁদের জন্য নিজের মতামত উত্থাপন করাটাই অনেক বড় ব্যাপার। তাই আপনার মতের সঙ্গে মিল না থাকলেও চেষ্টা করবেন তাঁর মতামতকে সম্মান করার। চেষ্টা করুন মনোযোগ দিয়ে শোনার এবং তার ভুলত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেওয়ার। এতে সবাই যেমন আপনার সামনে নিজেদের কথা বলার সুযোগ পাবে, তেমনই আপনার প্রতি তাদের আলাদা সম্মান গড়ে উঠবে।

সৎ থাকুন

কথায় আছে, সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। নিজের ওপর যে কাজের দায়িত্ব রয়েছে, সেটা যথাসম্ভব সততার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করুন। সৎ মানুষকে সবাই সম্মান করে।

আপনার মতের সঙ্গে মিল না থাকলেও চেষ্টা করবেন তাঁর মতামতকে সম্মান করার

 

ইতিবাচক থাকুন

যার সঙ্গেই কথা বলুন না কেন, যথাসম্ভব ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করবেন। নেতিবাচক লোকজন সব সময় নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেন। যে কারণে তাঁদের সঙ্গ অনেকেরই অপছন্দ। তাই চেষ্টা করবেন যথাসম্ভব ইতিবাচক থাকার।

আবেগ নয়, যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিন

আবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো বেশির ভাগ সময়েই সমস্যা তৈরি করে। কিছু কিছু সময় ভালো ফল পাওয়া গেলেও বেশির ভাগ সময়ই এ ধরনের সিদ্ধান্ত খারাপ ফল বয়ে আনে। এ ছাড়া যুক্তি দিয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাতে কেউ মনঃক্ষুণ্ন হলেও পরে সে ঠিকই বুঝতে পারবে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি সম্মানই জন্মাবে।

মনে রাখবেন, সম্মান বিষয়টি মন থেকে আসে, জোর করে ওপরে–ওপরে সম্মান করলেও ভেতরে-ভেতরে একটা চাপা ক্ষোভ থেকেই যায়। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে সম্মান পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।