ঢাকায় হকির কোরিয়ান কোচ

ঢাকায় হকির কোরিয়ান কোচ

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের কোরীয় কোচ ইয়াং কু কিম এখন ঢাকায়। ১ জুলাই রাতে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। ঢাকায় পৌঁছালে তাকে ফেডারেশন কর্মকর্তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

আজ (২ জুলাই) রোববার বিকেলে কোচ কিম মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে কিছু সময় কাটান, খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হন এবং তাদের খেলার পজিশন ও প্রস্তুতি সর্ম্পকে অবহিত হন।

অভিজ্ঞ এ কোরিয়ান কোচ গত বছর ঢাকায় ফ্রাঞ্চাইজি লিগে রূপায়ন গ্রুপের দায়িত্ব পালন করেন। ফলে স্থানীয় খেলোয়াড়দের খেলার ধরণ সর্ম্পকে তিনি যথেষ্ট অবহিত রয়েছেন। এর আগে তার কোরিয়ার পুরুষ ও নারী জাতীয় হকি দলের হয়েও কাজ করার অভিজ্ঞ রয়েছে।

এদিকে জাতীয় দল গঠন কল্পে প্রাথমিক ক্যাম্প ৪০ জন নিয়ে শুরু হয়েছিল। এরপর পারফরম্যান্স বিবেচনায় ৯ জন কমিয়ে সে সংখ্যা ৩১ জনে নামিয়ে আনা হয়। তারা হচ্ছেন বিপ্লব কুজুর, অসীম গোপ, আবু সাঈদ নিপ্পন, নুরুজ্জামান নয়ন, সাইজ উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম, ফরহাদ আহমেদ সিটুল, সোহানুর রহমান সবুজ, মেহেদী হাসান, রেজাউল করিম বাবু, হুজাইফা হোসেন, শহিদুল ইসলাম সৈকত, আমিরুল ইসলাম, মেহরাব হাসান সামিন, রোমান সরকার, নাঈম উদ্দিন, ফজলে হোসেন রাব্বি, আবেদ উদ্দিন, প্রিন্স লাল সামন্ত, আল নাহিয়ান শুভ, সারোয়ার হোসেন, পুষ্কর খিশা মিমো, দ্বীন ইসলাম ইমন, রাকিবুল হাসান রকি, মাহবুব হোসেন, আরশাদ হোসেন, রাসেল মাহমুদ জিমি, , মো. আব্দুল্লাহ, মিলন হোসেন, শফিউল আলম শিশির ও খোরশেদুর রহমান।

তবে যারা প্রথম দফায় ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েছেন তারা হলেন রামিম হোসেন, আজিজার রহমান, রাহিদ হোসেন জীবন, তৈয়ব আলী, ওবায়দুল হোসেন জয়, তাসিন আলী, আমান শরীফ, উক্ক্যহীন রাখাইন এবং রকিবুল হাসান।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন ১৫ জুন থেকে এশিয়ান গেমস সামনে রেখে মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে আবাসিক ক্যাম্প শুরু করে। যা ২৫ জুন পর্যন্ত চলমান ছিল। এরপর ২৬ জুন থেকে ১ জুলাই খেলোয়াড়রা পবিত্র ঈদ উল আযহার ছুটি কাটিয়েছেন। তবে ২ জুলাই ফের ক্যাম্পে যোগ দেন।