বর্ষায় ঘি খাওয়ার গুরুত্ব

বর্ষায় ঘি খাওয়ার গুরুত্ব

ফাইল ছবি।

বর্ষায় নানা ধরনের রোগব্যাধি, সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। এ সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকায় ঘি যোগ করা জরুরি। ঘিয়ে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত ঘি খেলে শরীরে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর ঘি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সাথে বর্ষাকালে সর্দি-কাশি ও ফ্লু প্রতিরোধ করে। ঘিয়ে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে  এর পাশাপাশি ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা বিভিন্ন অসুস্থতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

হজমের উন্নতি ঘটায়: ঘি হজমশক্তি বাড়ায়। এটি পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ঘি অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। ঘি বমি বমি ভাব, ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের মতো সমস্যা কমায়।

বিপাকক্রিয়া বাড়ায়: ঘি বিপাকক্রিয়া বাড়াতে  এবং মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। এটি শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়: ঘি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। ঘি’য়ে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং মেজাজ ভালো রাখে।

ভিটামিনের সমৃদ্ধ উৎস: ঘি  ভিটামিন এ, ডি, ই কে- সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সরবরাহ করে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি শক্তিশালী হাড় গঠনে সহায়তা করে। ভিটামিন ই ফ্রি র‌্যাডিক্যালের কারণে কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন হাড় ও দাঁতের সুরক্ষার জন্য সারা শরীরে ক্যালসিয়াম পরিবহনে সহায়তা করে।

খনিজ পদার্থের সমৃদ্ধ উৎস: ঘিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক এবং আয়রনের মতো খনিজ পদার্থও বেশি থাকে। এসব খনিজ বর্ষাকালে স্বাস্থ্যকর হাড়, ত্বক এবং চুলকে উন্নীত করতে সাহায্য করে।

আপনি যদি বর্ষা মৌসুমে সুস্থ থাকার উপায় খোঁজেন, তাহলে খাদ্য তালিকায় ঘি যোগ করুন। এটি শুধু শরীর সুস্থই রাখে না, খাবারে বাড়তি স্বাদ যোগ করে।