‘যেখানেই থাকি পাবনাবাসীর কথা স্মরণে থাকবে’

‘যেখানেই থাকি পাবনাবাসীর কথা স্মরণে থাকবে’

ছবি- নিউজজোন বিডি

 বিদায়কালে পাবনার জেলা প্রশাসক প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়কালে বলেছেন, ইছামতি নদী খনন ও দখলমুক্ত করতে সব সময় আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি। কাজ এখনো চলমান। বড় বাজেট এসেছে। আশা করি ইছামতি নদী চালু হবে। কাজিরহাটে সেতু অথবা টানেল নির্মাণের প্রস্তাবনা  দেয়া হয়েছে। মেডিকেল কলেজ আছে;কিন্তু হাসপাতাল নেই। এই বিষয়টিও কর্তৃপক্ষকে (জেলা প্রশাসক সম্মেলনে) জানিয়েছি। চেষ্টা করেছি পাবনাবাসীর জন্য কিছু করার।  যেখানেই থাকি পাবনাবাসীর কথা মনে থাকবে, দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।

রোববার (১৬ জুলাই) রাতে পাবনা প্রেস ক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে বদলিজনিত বিদায় উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মির্জা আজাদ, সহ-সভাপতি শহিদুর রহমান শহিদ, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, যুগ্ম সম্পাদক সরোয়ার উল্লাস, সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটিরি সাবেক সভাপতি রাজিউর রহমান রুমী, অবজারভার রিপোর্টার ড. নরেশ মধু, প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন প্রেস ক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল।

বক্তারা বলেন, বিশ্বাস রাসেল হোসেন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকবান্ধব ছিলেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি নিজ দপ্তরের কোনো দুর্নাম হতে দেননি। তিনি যে কাজগুলো করেছেন সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে করার চেষ্টা করেছেন। করোনাকালে তার ভূমিকা ছিল আশাব্যঞ্জক। তিনি কথা কম বলতেন। তিনি যেখানেই যাবেন পাবনাবাসীর আতিথেয়তা মনে রাখবেন। তিনি নিজ কর্মগুণে আরও উচ্চ পদে আসীন হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।

নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিশ্বাস রাসেল হোসেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আজ যে সম্মান আপনারা আমাকে দিলেন তা সারাজীবন মনে থাকবে। এই প্রাপ্তিটা আজীবন হৃদয়ে গেঁথে থাকবে। আমার ২ বছর ১ মাস কাজ করার সুযোগ হয়েছে। আমি মন থেকে বিশ্বাস করি সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করছেন। তারা সমস্যা সম্ভাবনা তুলে ধরেন বলেই আমাদের কাজ করা সহজ হয়। আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাকে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। অনেক তথ্য পেতাম আপনাদের মাধ্যমে। রাত ২টায়ও ফোন  পেয়েছি। রাষ্ট্রপতির স্মৃতি বিজড়িত প্রেস ক্লাবে আমাকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়ায় আমি গর্বিত।