আবারও বন্ধ রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র

আবারও বন্ধ রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র

ফাইল ছবি

রক্ষণাবেক্ষণের কারণে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। রোববার (১৬ জুলাই) বেলা ১টা থেকে এটি বন্ধ করে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, রক্ষণাবেক্ষণ শেষে খুব শিগগিরই প্রথম ইউনিটে পুনরায় উৎপাদন শুরু হবে।

এর আগে একই কারণে গত ৩০ জুন এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়েছিল। এরপর ত্রুটি সারিয়ে গত ১০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় উৎপাদন শুরু করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন মৈত্রি সুপার থার্নমাল পাওয়ার প্রকল্পটির প্রথম ইউনিট গত বছর ১৫ আগস্ট পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন লোডে ইউনিটটির উৎপাদন ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়। সফলতার সঙ্গে প্রতিটি ধাপ সম্পন্ন হওয়ায় পর গতবছর ২৩ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায় এই ইউনিটটি। এরপর পর থেকে উৎপাদনে থাকা অবস্থায় প্রথম ইউনিটটি শুধু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কয়েকবার বন্ধ করা হয়। তবে অন্য কোনো সংকট নেই বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেডের ডিজিএম (এইচআর ও পিআর) আনোয়ারুল আজিম জানিয়েছেন, প্ল্যান্টের কিছু অংশের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রথম ইউনিট রোববার দুপুর থেকে সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এটি চালু হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে আবারও আগের মতোই বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। পুরো মাত্রায় রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের সুফল দেশের মানুষ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট রয়েছে, যার প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াটের। দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিটটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় কারিগরি ত্রুটি ও কয়লা সংকটে বন্ধ হয় প্রথম ইউনিটের উৎপাদন।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রামপাল উপজেলায় অবস্থিত কয়লাভিত্তিক এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারভিত্তিক মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম।

বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ৯১৫ একর জমির ওপর বাংলাদেশ-ইন্ডিয়ার যৌথ মালিকানায় বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেড কলয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পিডিবি ও ভারতের বিদ্যুৎ বিভাগ এনটিপিসি ২০১০ সালের ৩০ আগস্ট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সমঝোতা স্মারক করে।