মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত ১৪

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত ১৪

সংগৃহীত

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের খোঁজে গ্রাম থেকে গ্রামে তল্লাশি চালাচ্ছে ক্ষমতাসীন জান্তাবাহিনী। শুক্রবার দেশটির সাগাইনের একটি গ্রামে জান্তাবাহিনীর এমনই একটি অভিযানে ১৪ জন নিহত হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সাগাইনের সোন চাউঙ গ্রামের দুই ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে জানান, তাদের গ্রামটি জান্তাবিরোধী লড়াইয়ে অন্যতম ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ শুক্রবার জান্তাবাহিনী এবং বিরোধী গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) মধ্যকার লড়াইয়ে মোট ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ওই দুই ব্যক্তি জানান, জান্তাবাহিনীর সদস্যরা মূলত পিডিএফ-এর সদস্যদের খোঁজে গ্রামে তল্লাশি চালাতে এসেছিল। এসে পিডিএফ যোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে যায়। পরে দুই পক্ষের সশস্ত্র সংঘর্ষে ১৪ জন প্রাণ হারান।

তারা জানান, নিহত ১৪ জনের মধ্যে ৬ জনই পিডিএফ যোদ্ধা এবং বাকি ৮ জনই সাধারণ জনগণ। তারা জানান, গ্রামের বড় একটি অংশজুড়ে এই ১৪ জনের মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। তাদের অধিকাংশকেই হয় গুলি করে নয়তো গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, সাধারণ গ্রামবাসী পালাতে গিয়ে জান্তাবাহিনীর হাতে ধরা পড়লে তাদের হত্যা করা হয়।

জান্তাবাহিনীর একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, বর্তমানে সাগাইন এবং মগওয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়মিত যুদ্ধ চলছে। সূত্রটি সাগাইনে ১৪ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তবে এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করেছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে দেশটির জান্তাবাহিনী। এরপর থেকেই জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেয় দেশটির আঞ্চলিক বিদ্রোহীরা। পরে উৎখাত হওয়া সরকারের নেতার মিলে দেশের বাইরে প্রতিষ্ঠা করেন জাতীয় ঐক্যের সরকার বা এনইউজি। সেই এনইউজি-এর সশস্ত্র শাখা হলো পিডিএফ। গঠনের পর থেকেই সশস্ত্র এই সংগঠনটি মিয়ানমার জুড়ে জান্তাবাহিনীকে বেশ নাকানিচুবানি খাইয়েছে।