দুই বাংলাদেশীকে পিটিয়ে সীমান্তে ফেলে গেলো বিএসএফ

দুই বাংলাদেশীকে পিটিয়ে সীমান্তে ফেলে গেলো বিএসএফ

সংগৃহীত

ভারতে অনুবেশের দায়ে সেখানে তিন দফা গণপিটুনি দিয়ে দুই বাংলাদেশীকে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সীমান্তে ফেলে দিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ। ওই দুই বাংলাদেশীর মধ্যে একজনের বাড়ি খুলনার রুপসা উপজেলার নতুন বাজার এলাকায়। অপরজনের বাড়ি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারি উপজেলায়।

জানা যায় ২১ জুলাই কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার জাহাঙ্গীর আলম (২৪ ) ও রুপসার নতুন বাজার এলাকার হৃদয় শেখ (২৪) কাজের জন্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে ট্রেনে আগরতলা আসার পথে টিকিট না থাকার কারণে ২২ জুলাই কাঞ্চণ কর্ণার নামক স্টেশনে তাদের দুজনকে নামিয়ে বাংলাদেশী জেনে গণপিটুনি স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখানে দুই রাত রেখে উলঙ্গ করে আরেক দফা পিটুনি দিয়ে গত রোববার বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। বিএসএফ ওই দিন তাদেরকে ক্যাম্পে আটকে তৃতীয় দফা পিটুনির পর সোমবার ভোরে জুড়ীর লাঠিটিলা সীমান্তের ১৮০০ থেকে ১৮০১ নাম্বার পিলারের দক্ষিণ কচুরগুল এলাকার নালাপুঞ্জি নামক গেইটের পাশে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে যায়।

এদের মধ্যে একজন ভোরে কচুরগুল এলাকার লোকজনকে বিষয়টি জানালে স্থানীয় লোকজন বিজিবি ও পুলিশে খবর দেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

লাঠিটিলা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মোহাম্মদ গাউস গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তিনি বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।

জুড়ী থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবীর সোমবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। যতটুকু জেনেছি বিজিবি ওই দুই বাংলাদেশীকে লাঠিটিলা সীমান্তের দক্ষিণ কচুরগুল এলাকা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখন বিজিবির অভিযোগ অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।