করোনা: নিয়োগ পাচ্ছেন আরো ২ হাজার চিকিৎসক

করোনা: নিয়োগ পাচ্ছেন আরো ২ হাজার চিকিৎসক

ছবিঃ সংগ্রহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে সরকার দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগে উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে উত্তীর্ণদের থেকে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।  

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তারা নিয়োগের কাজ দ্রুত শেষ করতে চায়। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বলছে, সরকার চাইলে বিশেষ এই উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত পিএসসি। আর চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে নতুন চিকিৎসক নেয়ার পক্ষে মত দিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে চিঠি দিয়েছে।

পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে পিএসসি থেকে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ওই বিসিএসে উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৩৬০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। সুপারিশ পাওয়ার পর অপেক্ষমান তালিকা থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া সম্ভব বলে মনে করে পিএসসি।

করনাভাইরাসের বিস্তারের পর চিকিৎসক সংকটের কারণে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এ অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নতুন ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছু হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আমাদের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন।  এ অবস্থায় যেহেতু নতুন নতুন হাসপাতাল করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রস্তুত করছি এবং বেশ কিছু চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন দুই হাজার চিকিৎসক এবং ছয় হাজার নার্স আমরা নিয়োগের ব্যবস্থা করছি। আশা করি এই নিয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা আরো জোরদার হবে।

গত বৃহস্পতিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিদিনের স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এসব কথা বলেন।

পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, নতুন ভাবে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে গেলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, কয়েক দফা পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। যা সময় সাপেক্ষ। তিনি জানান, দেশে এখন চিকিৎসক সংকট। এই বিশেষ সংকটের সময় জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া সম্ভব। এরা সবাই পাশ করেছেন।

পিএসসি জানায়, ২০১৮ সালের ৩ আগস্ট ৩৯তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, এতে ৩৭ হাজার ৫৮৩ জন অংশ নেন। পরীক্ষায় পাস করেন মোট ১৩ হাজার ৭৫০ জন চিকিৎসক।