প্রাথমিকে অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাড়ে ৪ লাখ শিক্ষক

প্রাথমিকে অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাড়ে ৪ লাখ শিক্ষক

ফাইল ছবি

২০২৪ থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু এখনো অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ শিক্ষক। প্রাথমিক ও গণশিক্ষ মন্ত্রনালয় বলছে নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

চলতি বছর মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেনিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আর প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণিতে চলছে শ্রেণি কার্যক্রম। আগামী বছর মাধ্যমিক পর্যায়ে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।

এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখের মত। এছাড়াও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১ লাখ শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে কিছু শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও বেশির ভাগ শিক্ষক এখনো প্রশিক্ষণ পাননি। ফলে শ্রেণি কার্যক্রমেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

এ বিষেয় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি থাকবে যেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষদের নতুন এই শিক্ষাক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হয়। শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়াই এই কার্যক্রম চালু হয়েছে। এটি চালুর আগে আরও বেশি পাইলটিংয়ের প্রয়োজন ছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের সহযোগী অধ্যাপকপ মজিবুর রহমান বলেন, কারিকুলামগুলোকে পাইলটিং করে বিভিন্ন লেয়ারে একটি সময় নিয়ে করা দরকার ছিল। আমি কয়েকটি স্কুলে করে ফেললাম এমন নয়। এর মধ্যে যে ক্রটি আছে তার আইডেন্টিফাই করে সেগুলো সমাধান করে তারপর বাস্তবায়ন করা। তাহলেই আমরা ভাল ফল পাবো। না হয় বিরুপ প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে।

এদিকে প্রশিক্ষণ ৩ দিন হবে না ৬ দিন সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রশিক্ষক প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় সচিব ফরিদ আহমেদ বলেন, আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে সফটওয়্যার ভিত্তিক এই মূল্যায়ন সম্পন্ন হবে। এই কাজগুলো আমাদের শিক্ষকরা করতে পারবেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই বছরের মধ্যেই সকল শিক্ষক এই প্রশিক্ষণের আওতায় আসবেন।