বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে লোড-আনলোড হবে জরুরী বৈঠকে সিদ্ধান্ত প্রবেশের অপেক্ষায় ২২১৪ টি ট্রাক দাঁড়িয়ে

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে লোড-আনলোড হবে জরুরী বৈঠকে সিদ্ধান্ত প্রবেশের অপেক্ষায় ২২১৪ টি ট্রাক দাঁড়িয়ে

যশোর প্রতিনিধি

ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোষ্টের নোম্যান্সল্যান্ডে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য লোড-আনলোড করা হবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নোম্যান্সল্যান্ডে ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের এক জরুরী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, অতি প্রয়োজনীয় ও পেরিশেবল পণ্য দিয়ে ভারত রফতানি শুরু করবে, পরে অন্যান্য আইটেম ও বাংলাদেশ থেকে রফতানি হবে।

করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউনের মধ্যে বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নোম্যান্সল্যান্ডে এক জরুরী বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসায়ী নেতারা। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুলের নের্তৃত্বে উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সদস্য আমিনুর রহমান আনু, ষ্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান তাজিন, কার্গো সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিব। ভারতের পক্ষে সিএন্ডএফ এজেন্ট ষ্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তীর নের্তৃত্বে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ আমদানি-রফতানি কারক সমিতির সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাসসহ ১০/১২ জন।

জরুরি বৈঠকে বক্তারা বলেন করোনার কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি চালু করতে পারছে না পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরের সেন্ট্রাল পার্কিং থেকে বনগাঁ পৌরসভার কালিতলা পার্কিং পর্যন্ত ২২১৪ টি রফতানিযোগ্য পণ্য বোঝাই ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মতপার্থক্যের জন্য পূর্বের ন্যায় বাণিজ্য চালু হচ্ছে না। ফলে পাটবীজসহ বিভিন্ন প্রকার পচনশীল পণ্য ও শিল্প কলকারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল আটকে পড়ায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দু‘দেশে প্রায় ৩০/৪০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। আমদানি-রফতানি চালু হলে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে কর্মচাঞ্চলতা ফিরে আসবে। করোনা থেকে রক্ষা পেতে বন্দর ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক হ্যান্ড গøাভস, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে।

ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট ষ্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, করোনা ভাইরাসের জন্য ভারত সরকার দফায় দফায় লকডাউন বৃদ্ধি করায় আমদানি-রফতানি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। লকডাউন ঘোষণার পর গত ২২ মার্চ থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সকল প্রকার আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় ট্রাক চালকেরা বাংলাদেশে গেলে চালককে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখবে পেট্রাপোল পুলিশ তাই ভারতীয় ট্রাক নোম্যান্সল্যান্ড পর্যন্ত যাবে। বাংলাদেশী ট্রাক ও শ্রমিকরা সেখান থেকে মালামাল লোড আনলোড করে নেবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, অতি প্রয়োজনীয় ও পেরিশেবল পণ্য দিয়ে রফতানি শুরু করা হবে, পরে অন্যান্য আইটেম ও দেয়া যাবে এবং পরিস্থিতি ভাল হলে পূর্বের ন্যায় কাজ করা হবে।

বেনাপোল আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুল ওয়াহাব বলেন, নোম্যান্সল্যান্ড ব্যবহার করতে হলে বিজিবির র্উ্ধ¦তন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল বলেন, করোনা ভাইরাসের জন্য দু‘দেশে লকডাউন চলছে, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ও একটি বিষয় আছে। প্রবেশের অপেক্ষায় ২/৩ শ পণ্য বোঝাই ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে। রোজার সময় ফল, পিয়াজের প্রয়োজন তাই নোম্যান্সল্যান্ড ব্যবহার করেই কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার মধ্য থেকেই কাজ করতে হবে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ভারত যদি পণ্য রফতানি ও বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা যদি নোম্যান্সল্যান্ড ব্যবহার করে তাহলে বন্দরের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।