গণতন্ত্র নিরাপদ রাখতে বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে : কাদের

গণতন্ত্র নিরাপদ রাখতে বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে : কাদের

সংগৃহীত

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে নিরাপদ এবং অসাম্প্রদায়িক মানবতাবোধকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বিএনপি নামক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল ৮টায় রাজধানীর বনানীতে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে বঙ্গমাতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। পরে বঙ্গমাতার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর সব সংগ্রামে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন শেখ ফজিলাতুননেছা। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতাই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের খোঁজখবর নিতেন। ৭৫ থেকে দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে। বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে।

তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পরে যখন শাসক দল হিসেবে ক্ষমতায় ছিল তখন থেকে এই দলটি মূলত বাংলাদেশে হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতির হোতা। তাদের পরাজিত করতে হবে। আজকে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, খাইরুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়কসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর সবুর, সাংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে নানান আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি কর্মসূচি ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

উল্লেখ্য, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে তিনি ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।

আন্দোলন-সংগ্রামে বেগম মুজিব কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বলেই তার সহধর্মিণী আজ বঙ্গমাতার আসনে অধিষ্ঠিত। এ দেশের রাজনীতিতে তিনি অনন্য সাধারণ ভূমিকার জন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন