বাংলাদেশ সফরে আসবেন ডি মারিয়া!

বাংলাদেশ সফরে আসবেন ডি মারিয়া!

অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া

কাতার বিশ্বকাপের সময় আর্জেন্টিনা দলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। লিওনেল মেসিদের প্রতিটি ম্যাচে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বড় পর্দার সামনে হাজার হাজার মানুষের উন্মাদনার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিরোনামও হয়েছিল। এরপর থেকেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের বাংলাদেশ সফরের গুঞ্জন উঠে।

কখনো দেশি ক্লাব, ফেডারেশন আবার অনেক সময় বিদেশি কোনো সংস্থা/ব্যক্তি মেসিদের বাংলাদেশে আনার খবর রটে। গত দশ মাসে অসংখ্য খবর রটলেও বাস্তবে শুধু আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতানোর অন্যতম নায়ক গোলকিপার এমিলিয়েনো মার্টিনেজই বাংলাদেশে পা রেখেছেন। তবে এবার বাংলাদেশে আসতে পারেন বিশ্বকাপ ফাইনালে গোলদাতা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া!

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় পশ্চিম বাংলার কলকাতায় আসবেন ডি মারিয়া। সেই উপলক্ষ্যে একদিনের সফরে বাংলাদেশেও আসতে পারেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা এই ফুটবলার। গত মাসে মার্টিনেজ কলকাতার যে ক্রীড়া উদ্যোক্তার মাধ্যমে এসেছিলেন, সেই শতদ্রু দত্তই নিয়ে আসছেন ডি মারিয়াকে।

ডি মারিয়া বাংলাদেশ সফরে আসবেন কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। যদিও ব্যাপারটি এখন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শতদ্রু দত্ত। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) তিনি বলেছেন, ‘কলকাতা থেকে ডি মারিয়াকে বাংলাদেশে আনার ব্যাপারটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ২৩ অক্টোবর এ নিয়ে কাজ করব।’

মার্টিনেজের বাংলাদেশ সফরের সময় ডলার বিনিময়সহ বেশ কিছু বিষয়ে জটিলতা ছিল। তাকে এক পলক দেখতে পারেননি দেশের ক্রীড়ামোদী সমর্থকরা। এছাড়া মাত্র ১১ ঘন্টার সফরে ঘটেছে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া অনেক চেষ্টা করেও এয়ারপোর্টে মার্টিনেজের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।

এদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পর জামালের জন্য নিজের স্বাক্ষরিত একটি জার্সি শতদ্রু দত্তকে দিয়েছিলেন মার্টিনেজ। তবে এক মাস পেরিয়ে গেলেও জামাল সেই জার্সি এখনো হাতে পাননি। এই প্রসঙ্গে শতদ্রু বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে আসলে সেটি নিয়ে আসব। ডি মারিয়ার বিষয়ে কাজ করতে আসা হতে পারে তখন দিয়ে দেব।’

মার্টিনেজের সংক্ষিপ্ত সফরটি আলোচনার চেয়ে সমালোচনার জন্মই দিয়েছিল বেশি। ভারতের ক্রীড়া উদ্যোক্তার কর্মকাণ্ড ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আর্জেন্টিনার প্রতি বাংলাদেশের ক্রীড়ামোদীদের আবেগ ব্যবসায়ের উপলক্ষ্য হিসেবে মনে করছেন অনেকে। ডি মারিয়ার বিষয়টি কোন পর্যন্ত গড়ায় সেটাই দেখার বিষয়।