চাঁদপুরে শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

চাঁদপুরে শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

চাঁদপুর জেলার কচুয়ায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. বোরহান উদ্দিন (৩৫) নামে মসজিদের ইমামকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। সেই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় প্রদান করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বোরহান উদ্দিন কচুয়ার নিশ্চিন্তপুর আকানিয়া গ্রামের ফকির বাড়ীর মৃত: তাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় শাহী মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ধর্ষণের শিকার শিশু সুইটি (ছদ্মনাম) মসজিদের ইমামের নিকট শিক্ষা নিতেন।

মামলার বিবরনে জানা যায়, ওই শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি পড়া শেষ হলে পিতা তার পড়া বন্ধ করে দেন। এরপর মেয়েকে কোরআন শেখার জন্য মসজিদের ইমাম বোরহান এর নিকট দেন। প্রতিদিন সকালে শিশু তার নিকট কোরআন পড়তে যেতেন। ঘটনার দিন ২০২০ সালের ১৫ মার্চ রাত ৯টার দিকে ইমাম শিশুটির বাড়ীতে ফোন করে জানান, মসজিদ কমিটি মসজিদ সংস্কারের জন্য স্থাপনা ভাঙবেন। তাই শিশুটি যেন কোরআন শরীফ মসজিদ থেকে নিয়ে আসে। ফোন পেয়ে ওই শিশু মসজিদে কোরআন শরীফ আনতে গেলে, ইমাম শিশুটিকে জাপটে ধরে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে পরিবারের নিকট ঘটনাটি জানায়।
তাৎক্ষনিক শিশুর পিতা ঘটনাটি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানায়। স্থানীয়রা এর কোন সমাধান দিতে না পারায়, শিশুর পিতা ২১ মার্চ কচুয়া থানায় বোরহানকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

কচুয়া থানার তৎকালীন এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত শেষে ৩০ জুলাই তিনি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের পিপি এড. সাইদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি তিন বছরের অধিক সময় চলা অবস্থায় ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় প্রদান করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এড. গোলাম রাব্বানী।