ডিএসসিসির অভিযানে ৮ স্থাপনাকে জরিমানা

ডিএসসিসির অভিযানে ৮ স্থাপনাকে জরিমানা

ফাইল ছবি

ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে সাতটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। অভিযানকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় আটটি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) করপোরেশনের আওতাধীন বড় মগবাজার, উত্তর কমলাপুর, জসীম উদ্দিন রোড, বকশিবাজার, আলী হোসেন খান লেন, বেচারাম দেউড়ি, নূর বক্স লেন, মধ্য নন্দীপাড়া গোলার বাড়ি, রানিমহল ও ডেমরা এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ডিএসসিসির মুখপাত্র আবু নাছের জানান, আজকের অভিযানে ডিএসসিসির এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড় মগবাজার এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলীমা বেগম আট নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কমলাপুর ও জসীম উদ্দিন রোডে ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং একটি বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুসেইন খান ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বকশিবাজার এলাকায় ৫২টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন এবং দুইটি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আলী হোসেন খান লেন, বেচারাম দেউড়ি ও নূর বক্স লেন এলাকায় ৫৭টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি জেরিন কান্তা ৪৯ ওয়ার্ডে ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং দুইটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী শুভাশিস ঘোষ ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য নন্দীপাড়া ও গোলার বাড়ি এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের রানিমহল ও ডেমরার ৫৯টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

দশ অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনজুর হোসেন ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় দুইটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

আবু নাছের বলেন, আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩৭৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় আটটি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় আট মামলায় সর্বমোট ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।