এবার ক্রিকেটেও লাল কার্ড

এবার ক্রিকেটও শুরু হচ্ছে লাল কার্ড। আম্পায়ার এই কার্ড দেখিয়ে ক্রিকেটারকে মাঠের বাইরে বের করে দিতে পারবে। এমনই নতুন ভাবনা নিয়ে শুরু হতে চলেছে এবারের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)। বলা যেতেই পারে, ক্রিকেটকে নতুন পথ দেখাতে চলেছে সিপিএল-২০২৩।যদি সিপিএলে এই লাল কার্ড নিয়ম সফল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও এ নিয়ম দেখা যেতে পারে।

ক্রিকেটে স্লো ওভার রেট একটা মাথাব্যথার বিষয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটা সব থেকে বেশি দেখা যাচ্ছে। এর ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উদ্যোক্তারা খেলা শেষ করতে পারছে না। এ কারণেই নতুন লাল কার্ড নিয়ম চালু করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত যে দল বোলিং করে, তারা যদি স্লো ওভার করে অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ে মধ্যে খেলা শেষ না করে তাহলে তাদের স্লো ওভারে রেটের জন্য জরিমানা করা হয়। কোনো সময় শুধু দলের অধিনায়কের জরিমানা হয়। কখনো আবার পুরো দলকে জরিমানার মুখেও পড়তে হয়। তবে তার আগে স্লো ওভার করলে বোলিং করা দলকে ফিল্ডিং করার সময়ে একজন অতিরিক্ত ফিল্ডারকে বৃত্তের মধ্যে রাখতে হয়। এর ফলে বোলিং করা দল শেষ ওভার অর্থাৎ ডেথ ওভারে গিয়ে সমস্যায় মুখোমুখি হয় এবং ব্যাটিং দল শেষ ওভারে রান করার বাড়তি সুবিধা পায়। তবে এবার এই স্লো ওভার রেটের নিয়মকে বদলে আরো কঠিন করা হচ্ছে।খেলার গতিকে বজায় রাখতেই এবার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে লাল কার্ডের নিয়ম চালু করা হচ্ছে।

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অপারেশন ডিরেক্টর মাইকেল হল বলেন, ‘আমাদের টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোর দৈর্ঘ্য প্রতি বছর ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আমরা এ বিষয়টা বদলাতে চাই। তাই এবারের সিপিএলে নতুন নিয়ম নিয়ে আসতে চলছি। আমরা আশাবাদী, কোনো দলকে আমাদের শাস্তি দিতে হবে না। উল্টা ক্রিকেটাররা নিজেরাই এই ভুল শুধরে নেবে। তা না হলে ওই দলের বিরুদ্ধে আম্পায়ার ব্যবস্থা নেবে।’

সিপিএলের আসন্ন মৌসুম থেকে চালু হবে লাল কার্ড। জানা গিয়েছে, ২০তম ওভারের শুরুতে ফিল্ডিং করা দল যদি নির্ধারিত সময় থেকে পিছিয়ে থাকে, তা হলে ওই দলের একজন ক্রিকেটারকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিতে পারবে আম্পায়ার।

স্লো ওভার রেটের জন্য থাকবে পেনাল্টিও। যদি ম্যাচে ব্যাটিং দল সময় নষ্ট করে এবং তারা যদি নিয়ম মেনে ম্যাচ শেষ না করে তাহলে ব্যাটিং টিমের শাস্তি দেয়া হতে পারে। আম্পায়াররা প্রথম এবং শেষবার সতর্ক করা পরেও ব্যাটিং দল সময় নষ্ট করলে ৫ রান পেনাল্টি করা হবে এবং ব্যাটিং দলের থেকে ৫ রান কেটে নেয়া হবে। তবে বড় শাস্তি থাকবে বোলিং দলের ওপরেই। ১৮তম ওভারের শুরুতে ফিল্ডিং করা দল যদি ওভার রেটের থেকে পিছিয়ে থাকে, তা হলে একজন অতিরিক্ত ক্রিকেটারকে অবশ্যই ওই সময় ফিল্ডিং বৃত্তে প্রবেশ করতে হবে। অর্থাৎ ওই সময় ফিল্ডিং বৃত্তের ভেতর মোট পাঁচজন ক্রিকেটার থাকবে। ১৯তম ওভারের শুরুতে বোলিং করা দল যদি ওভার রেটের থেকে পিছিয়ে থাকে তা হলে দু’জন অতিরিক্ত ফিল্ডারকে অবশ্যই ফিল্ডিং বৃত্তে প্রবেশ করতে হবে। ফলে ওই সময় ফিল্ডিং বৃত্তের ভেতরে মোট ছয়জন ক্রিকেটার থাকবে। ২০তম ওভারের শুরুতেও যদি একই রকম ফিল্ডিং করা দল নির্ধারিত ওভার রেটের থেকে পিছিয়ে থাকে, তা হলে একজন ক্রিকেটারকে মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে। ওই ক্রিকেটারকে বেছে নেবেন ফিল্ডিং করা দলের ক্যাপ্টেন। ওই সময়ও ফিল্ডিং বৃত্তের মধ্যে মোট ছয়জন ক্রিকেটার থাকবে। এছাড়াও জরিমানার নিয়ম তো বহাল থাকবেই।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস