‘ডিম ১২ টাকার বেশি বিক্রি করলেই ব্যবস্থা’

‘ডিম ১২ টাকার বেশি বিক্রি করলেই ব্যবস্থা’

ছবিঃ সংগৃহীত।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘দেশে ডিমের যে উৎপাদন আছে, বাজার ব্যবস্থা বিন্যাস করতে পারলে আমদানির প্রয়োজন হবে না। প্রতিটি ডিম ১২ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ হলে ১২ টাকায় বিক্রি হলে উৎপাদকরা লাভ করতে পারবেন। ডিম ১২ টাকার বেশি বিক্রি করলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে’।  

রোববার বিকালে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশিদের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ডিম বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখিছি একটি ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা। সে অনুযায়ী একটি ডিম ১২ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। আমরা উৎপাদনকারীদের বিভিন্নভাবে অনুরোধ করেছি, বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এরপরেও যদি কেউ জনদুর্ভোগ ডেকে নিয়ে আসেন, তা দেখভাল করার জন্য ভোক্তা অধিকার আইন আছে। ভোক্তাদের অধিকার দেখার জন্য কর্তৃপক্ষ আছে। তারা প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবেন। আমি বলব, ১২ টাকার বেশি রাখা হলে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। 

মন্ত্রী আরও বলেন, এটা দাম নির্ধারণ করার বিষয় না। এর আগে ২০১০ সালে ছোটো বাচ্চা মুরগি ও অন্যান্য বিষয়ের দাম নির্ধারণের বিষয় উঠেছিল। সেক্ষেত্রে আদালত প্রশ্ন তুলেছিলেন, মন্ত্রণালয় এভাবে দাম নির্ধারণ করে দিতে পারে না।

ডিমের দাম কমাতে আমদানির কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিম আমদানির বিষয়টির অন্যভাবে আমরা বিবেচনা করব। এটি স্বাধীনভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে কি করবে না, এটি তাদের বিষয়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, দেশে যে উৎপাদন আছে, বাজার ব্যবস্থা বিন্যাস করতে পারলে আমদানির প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না।’

মন্ত্রী বলেন, ডিমের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতি করা চলবে না। আমাদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এদেশের মানুষের খাদ্যের একটি বড় জোগান ডিম। এক্ষেত্রে যাতে অস্বাভাবিক বাজার পরিস্থিতি না হয় সে বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তা আমরা করছি। সংশ্লিষ্ট সবাইকেও এ বিষয়ে ভাবতে হবে।