হিমাচলে মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু

হিমাচলে মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু

হিমাচলে মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু

ভারী বর্ষণে বিধ্বস্ত ভারতের হিমাচল প্রদেশ। বর্ষার তাণ্ডবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই রাজ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু।

রোববার (১৩ আগস্ট) সোলান জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, শিমলা শহরের একটি শিবমন্দিরে ধসে এখনো পর্যন্ত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। দু’দিনে মোট ২১ জন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভেঙে পড়া কংক্রিটের চাঁইয়ের নিচে এখনো চাপা রয়েছেন ১৫ থেকে ২০ জন পুণ্যার্থী। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে শিমলার সামার হিলের ওই শিবমন্দিরে অন্তত ৫০ জন পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিল। ভারী বর্ষণের ফলে মন্দিরের একাংশ হঠাৎ করেই হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে যায় মন্দিরের ভেতরে থাকা পুণ্যার্থীদের অনেকে। এখন পর্যন্ত নয়জেনর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আরো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজও।

হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এ কথা জানান। শিমলার ডেপুটি কমিশনার আদিত্য নেগি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ভূমিধসের ফেলে অনেক মানুষ মাটিচাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্য দিকে, ফাগলি এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।মুখ্যমন্ত্রী সুখু হিমাচলের সাধারণ জনগণকে বাড়ির ভেতরে থাকার এবং নদীর কাছাকাছি না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই সঙ্কটের সময়ে পর্যটকদের ওই রাজ্যে প্রবেশ না করার অনুরোধও করেছেন তিনি।

বন্যা ও ভূমিধসের কারণে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড দেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য। রোববার প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, বর্ষার বিধ্বংসী রূপে হিমাচলে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হিমাচলে বর্ষার মৌসুম শুরুর পর থেকে প্রায় ২৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা