জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টের ১৬ দিনে ৩ গুণ বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত

জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টের ১৬ দিনে ৩ গুণ বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত

ফাইল ছবি

জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টের ১৬ দিনে তিন গুণ বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত আগস্টের ১৬ দিনে দেশে ৪০ হাজার ১৯২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। অপর দিকে গত জুলাই মাসে প্রথম ১৬ দিনে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল ১২ হাজার ৯০০ জন। আগস্টের এই ১৬ দিনে দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছে ১৮৪ জন অর্থাৎ দিনে ১১ জনের বেশি (১১.৫ জন)।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড কনট্রোল রুম জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মোট দুই হাজার ১৪৯ জন রোগী নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং একই সময়ে ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তবে গতকাল বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত প্রেসব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, রাজধানীর চারটি বৃহৎ সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৯৫৬টি বেড ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু সেখানে রোগীরা যাচ্ছে না। রোগীরা নির্দিষ্ট কয়েকটি হাসপাতালে বেশি যাচ্ছে। ব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়েছে, রাজধানীসহ সারা দেশেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে এসেছে। যার ফলে হাসপাতালগুলোতেও রোগীর চাপ কমে এসেছে। ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা: মো: হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার কিছু হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকলেও অনেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর শয্যা এখনো ফাঁকা আছে। বিশেষ করে মহাখালীর ডিএনসিসি হসপিটাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল। এ হাসপাতালগুলোতে এখনো ৯৫৬টি ডেঙ্গুর শয্যা ফাঁকা রয়েছে।
এখনো মুগদা হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে ৮৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এই হাসপাতালে গতকাল পর্যন্ত ৩৭৭ জন রোগী ভর্তি ছিল।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ১৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চার হাজার দু’জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঁচ হাজার ১৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৯২ হাজার ২৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৫ হাজার ২৩০ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৯৪ জন।