মাদারীপুরে ৯ মাসের শিশুসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

মাদারীপুরে ৯ মাসের শিশুসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নয় মাসের শিশুসহ তার মা ও খালাতো বোনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। 
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দুধখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, এ ঘটনায় ওইদিন রাতে শিশুটির মামা সজিব বেপারী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে রাতেই জহুরা বেগম (৬৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করে আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
আহতরা হলেন ওই এলাকার সিরাজুল হাওলাদারের স্ত্রী রিমা বেগম (২৫), তার ৯ মাসের ছেলে সাজিদ ও ভাগনি ইতি মনি (১২)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মাদারীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ দুধখালী গ্রামের মৃত মোতালেব হাওলাদারের দুই ছেলে সোনা মিয়া হাওলাদার ও সিরাজুল হাওলাদারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি ভবন নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে সোনা মিয়া তার মা জহুরা বেগমের সহযোগিতায় সিরাজুলের ঘরে প্রবেশ করে রিমা বেগম, সাজিদ ও ইতি মনিকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক সবাইকে পাঠানো হয় ফরিদপুর মেডিকেলে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৯ মাসের শিশু সাজিদকে পাঠানো হয় রাজধানী ঢাকা মেডিকেলে। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সাজিদ, আর মা রিমা বেগমের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
মামলার বাদী সজিব বেপারী বলেন, যে জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল তা স্থানীয় শালিসিরা মিমাংসা করে দিয়েছেন। তারপরও সোনা মিয়া আমার বোনের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
আহত রিমা বেগমের বাবা আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, সোনা মিয়া এতোটাই হিংস্র যে আমার নয় মাসের নাতনিকেও ছাড়ে নাই। আমার মেয়ে আর নাতিনের অবস্থা খুবই খারাপ।
ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, শিশু ও তার মাসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। একজন গ্রেফতার হলেও বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে চিকিৎসক।