কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পর নিরাপত্তা সতর্কতা বাড়ালো সুইডেন

কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পর নিরাপত্তা সতর্কতা বাড়ালো সুইডেন

কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পর নিরাপত্তা সতর্কতা বাড়ালো সুইডেন

সুইডেন ও ডেনমার্কের ইসলামবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টরা সাম্প্রতিক সময়ে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনের কয়েকটি কপি পোড়ান৷ এই ঘটনার পর বিশ্বের অনেক মুসলিম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন৷ জিহাদিরা হুমকিও দিয়েছিলেন৷এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সুইডেনের নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির নিরাপত্তা সতর্কতা তিন থেকে চারে উন্নীত করেছে- যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তর৷ ‘‘নিরাপত্তা সতর্কতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে নেয়া হয়নি, কারণ আমরা জানি হেজবুল্লাহ, আল-শাবাব ও আল-কায়েদা তাদের সমর্থকদের সুইডেনের বিরুদ্ধে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে,'' এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন সুইডেনের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান শার্লোটে ফন এসেন৷

কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পর কয়েকটি পরিকল্পিত হামলা ঠেকানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে সুইডেন৷

দেশটির প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন জানান, পরিকল্পিত হামলা চিহ্নিত ও বন্ধ করার পর সুইডেনে এবং সুইডেনের বাইরে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তবে ঐসব সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি, অনেক সুইডিশ ভয়ে আছেন৷ কিন্তু আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন চালিয়ে যেতে হবে৷''এদিকে, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সুইডেন যাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে৷

২০১৭ সালে সুইডেনের একটি ব্যস্ত সড়কের পাশের ফুটপাথে ট্রাক তুলে দিয়েছিলেন এক উজবেক অভিবাসী৷ এতে পাঁচজন নিহত হন৷ হামলাকারী ইসলামিক স্টেটের সমর্থক ছিলেন৷ সাম্প্রতিক সময়ে সুইডেনে এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা৷

ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই কোরআনপোড়ানোর ঘটনায় দায়ীদের কঠোর শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, সুইডেন মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মনোভাবে আছে৷এদিকে, সুইডেন ও ডেনমার্কের সরকারকোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে, এটি বন্ধ করার জন্য নতুন আইন তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে৷

সুইডেনে গত এক মাসে অন্তত তিনবার কোরআন পোড়ানোর পেছনে ছিলেন ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা৷ তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে চান এবং কোরানের উপর নিষেধাজ্ঞা চান৷একই সময়ে ডেনমার্কে ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস নামের একটি চরম ডানপন্থি গোষ্ঠী তাদের মুসলিম-বিরোধী বিক্ষোভের সংখ্যা বাড়িয়েছে৷ নরডিক দেশগুলোতে ‘ইসলামাইজেশন' চলছে বলে তারা মনে করেন৷

সূত্র : ডয়চে ভেলে