যে ১০ খাবারে থাকবে এনজাইটি নিয়ন্ত্রণে

যে ১০ খাবারে থাকবে এনজাইটি নিয়ন্ত্রণে

প্রতীকী ছবি।

এরকম কি কখনও হয়েছে যে, আকস্মিক কোনো ঘটনার সম্মুখীন হয়ে আপনার মনে হয়েছে আপনি আর স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছেন না। দম আটকে আসছে। অথবা কোনোকিছু দেখে মারাত্মক ভয় পেয়েছেন?

কোনো তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে যদি অনেক বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, তবে আপনি এনজাইটি ডিজঅর্ডার রোগে আক্রান্ত, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা আরও বলছেন, মানসিক সমস্যাকে যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে তখন তা নতুন নতুন আরও শারীরিক সমস্যাও তৈরি করতে থাকে।

অতিরিক্ত উৎকণ্ঠা বা এনজাইটিও হলো এমন একটি রোগ, যা দীর্ঘসময় উৎকণ্ঠায় কাটালে এর প্রভাব শরীরেও পড়া শুরু করে। এ রোগে আক্রান্ত হলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ঠিক থাকলেও আপনার মনে হবে যে আপনি পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছেন না। আর এ কারণে দমবন্ধের মতো অনুভূতির পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও হতে পারে।

মস্তিষ্কের এমন বিশেষ রোগ এনজাইটি নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকরা বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে ওষুধ ছাড়াও এমন কিছু পথ্য আছে, যা ব্যক্তির এনজাইটি নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে বলে জানা গেছে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার রয়েছে, যা আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে অনেকাংশে উন্নত করতে সাহায্য করে। উৎকণ্ঠা নিয়ন্ত্রণে এসব খাবারগুলো হলো:

১। কলা: রক্তে সেরোটোনিনের পরিমাণ বাড়লে, দেহে এক প্রকার শিথিলতা আসে। কলা সেরোটিনিনের পরিমাণ বাড়ায় ফলে রিল্যাক্স বোধ হবে। এছাড়াও, কলা ট্রিপ্টোফ্যানের একটি ভালো উৎস।

 

২। ডিম: ট্রিপটোফ্যান দেহে নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে। ডিমও ট্রিপটোফ্যানের একটি দারুণ উৎস ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।

 

৩। গ্রিন টি: গ্রিন টি বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতনদের নিকট দারুণ জনপ্রিয় এক পানীয়। তেতো স্বাদের কারণে প্রথমে আপনার কাছে বিস্বাদ মনে হলেও এনজাইটির জন্য এ পানীয় অত্যন্ত উপকারী। কর্টিসলের মাত্রা কমাতে গ্রিন টি খাওয়া উচিত।

 

৪। ডার্ক চকলেট: তিতকুটে মিষ্টি এ চকলেট আপনার মস্তিষ্কের ফাংশনের জন্য উপকারী, রয়েছে নিউরোপ্রোটেক্টিভ গুণ।

 

৫। হলুদ: হলুদে থাকা কারকিউমিন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

 

৬। ঝিনুক/ ওয়েস্টার: জিঙ্ক সমৃদ্ধ ঝিনুক উদ্বেগ কমাতে সহায়ক। কারণ, জিঙ্ক স্নায়বিক কার্যকারিতার জন্য একটি দরকারি খনিজ।

 

৭। সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক খাবার ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ এবং এটি উদ্বেগের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

 

৮। বাদাম ও বীজ: বাদাম ও বীজের মতো ম্যাগ্নেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার মানসিক চাপ বা স্ট্রেস ও উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

 

৯। চিয়া সিডস: চিয়া সিডসকে সুপার ফুড বলা হয়। দানাদার এ খাবার ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের পাওয়ার হাউস।

 

১০। ক্যামোমাইল টি: ক্যামোমাইল ফুল শুকিয়ে বানানো হয় ক্যামোমাইল চা-পাতা। ক্যামোমাইলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ হতে মুক্তির উপাদান স্ট্রেস বাস্টার হিসেবে পরিচিত। তাই বিদেশি এ চা পানেও মিলবে আরাম।