সিলেটে ঝাঁজ কমেছে পিয়াজের

সিলেটে ঝাঁজ কমেছে পিয়াজের

সংগৃহীত

ভারত পিয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই আরেক দফা অস্থির হয়ে উঠে সিলেটে পিয়াজের দাম। ভারতের সিদ্ধান্ত শোনার সঙ্গে সঙ্গেই পিয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। ৪০-৪৫ টাকা কেজি পিয়াজ বিক্রি করা হয় ৬০ টাকায়। তবে আজ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। 

সিলেটের পাইকারি বাজারে মঙ্গলবার পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা কেজিতে। অথচ নতুন দামের পিয়াজ এখনো বাজারে এসে সারেনি। এমনকি ভারতের শুল্ক আরোপের খবরে বেড়েছে দেশীয় পিয়াজের দামও।

ক্রেতারা বলছেন, পিয়াজ রফতানির ওপর ভারত দুই দিন আগে শুল্ক আরোপ করেছে শুনেছি। কিন্তু সেই পিয়াজ তো এখনও বাজারে আসেনি। অথচ দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা সিন্ডিকেটের কাজ। সরকারের উচিত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। পিয়াজ ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে মূল্য বাড়িয়ে ভোক্তার পকেট কাটছে। আমরা সব দিকে অসহায়। পিয়াজের কোনো সংকট নেই। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে এত টাকা কিভাবে বাড়ে? 

কালীঘাট এলাকার ব্যবসায়ী নীলাঞ্জন দাশ টুকু বলেন, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যায় ফলন নষ্ট হওয়ার এবং পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে চলতি মাসের শুরুর দিকে রফতানি মূল্যবৃদ্ধি করে সেখানকার পিয়াজ সরবরাহকারীরা। এখন আবার রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণায় দেশীয় সিন্ডিকেট রাতারাতি বাড়িয়ে দিয়েছে পিয়াজের দাম। সেই পিয়াজ এখনও বাজারে আসেনি। 

একদল অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে যে পিয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়েছে তা দু্ই দিন আগ পর্যন্ত ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়েছে। তবে আজ দাম কিছুটা কমেছে। ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে পিয়াজ। আশা করছি সরকারের হস্তক্ষেপে পিয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।