গাজীপুরে শিক্ষকের হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

গাজীপুরে শিক্ষকের হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবিঃ সংগৃহীত।

গাজীপুরের কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভ খান আঃ হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ নূরুল ইসলাম বিএসসিকে কুপিয়ে হাত পায়ের রগ কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে ওই বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে এবং বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে একটি মানববন্ধন করেন। গতকাল দুপুরে ওই শিক্ষকের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি মামলা করেন।

জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে চরদুর্লভ খান আঃ হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ওই শিক্ষকের বারিষাব গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত যায়। সেখান গিয়ে তারা একটি প্রতিবাদ সভায় তাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষকের উপর এই জঘন্য হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কাপাসিয়া উপজেলা শাখা ও বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের আয়োজনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আইনউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রায়হানউদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শামসুল হুদা লিটন, মোঃ মোবারক হোসেন প্রধান, শহিদুল্লাহ আজাদ, মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ। এ সময় বক্তারা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাপাসিয়া থানার ওসির কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে একটি স্মারকলিপি দেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয় বেলতলী বাজারের হোমিওপ্যাথী ওষুধের দোকান বন্ধ করে নূরুল ইসলাম বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নূরার ব্রিজের পূর্ব পাশে এলে ৭-৮ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে এলোপাথারি মারপিট ও কোপাতে থাকে।

এ সময় দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে তার কোমরের নিচের অংশ, ডান হাতের দুই জায়গা ও বাম হাতের এক জায়গার হাড় ভেঙ্গে দেয়। পরে তারা ডান হাতের কব্জির রগ ও ডান পায়ের হাটুর নিচের মাংশ পেশি ও রগ কেটে দিয়ে তাকে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয়। এ সময় ওই সড়কের পথচারিরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠালে তার অস্ত্রোপাচার করা হয়।

কাপাসিয়া থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবির জানান, এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের স্ত্রী বাদি হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।