বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সৌদির সমর্থন থাকবে : সৌদি মন্ত্রী

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সৌদির সমর্থন থাকবে : সৌদি মন্ত্রী

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সৌদির সমর্থন থাকবে : সৌদি মন্ত্রী

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাওজান আল-রাবিয়াহ বুধবার বলেছেন, তার দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সৌদির মন্ত্রী এ কথা বলেন।মন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এখন চমৎকার।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সৌদি আরব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির অন্যতম গন্তব্য। সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশি দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি দুই দেশের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কল্যাণে সৌদি সরকার আরও কার্যকর উদ্যোগ নেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পবিত্র হজ পালনের জন্য বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ঢাকায় অভিবাসন শেষ হওয়ার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ উদ্যোগের জন্য হজযাত্রীদের জন্য হজযাত্রা ও সম্পাদন সহজ ও আরামদায়ক হয়েছে।আগামীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব হজযাত্রী আরও সহজে ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ বছর রাজকীয় অতিথি হিসেবে হজের সময় সৌদি সরকারের উষ্ণ আতিথেয়তার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, পবিত্র হারাম শরিফ ও মসজিদে নববীসহ বিভিন্ন ইসলামি ঐতিহ্য বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও মর্যাদাপূর্ণ।বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য সৌদি সরকারের মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে সৌদি আরব বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।

হজের সময় সৌদি প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, তিনি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন।সৌদির মন্ত্রী বলেন, দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভালো।সৌদি মন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির প্রশংসা করেন এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।বাংলাদেশি হজযাত্রীরা যাতে আরও সহজে ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, রাষ্ট্রপতির সচিব ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসা আল দুহাইলান উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : ইউএনবি