তারেকের বক্তব্য প্রচারে ভেস্তে গেলো বিএনপির কূটকৌশল

তারেকের বক্তব্য প্রচারে ভেস্তে গেলো বিএনপির কূটকৌশল

সংগৃহিত ছবি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার নিয়ে করা মামলায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের কূটকৌশল ভেস্তে গেছে। পলাতক আসামির পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ না থাকায় এক আইনজীবীকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করলেও উচ্চ আদালত তা আমলে না নিয়ে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।

২০১৫ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার নিষেধাজ্ঞার মামলা নিয়ে উত্তেজনা থামছেই না। এ মামলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ-বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা পাল্টাপাল্টি কৌশল নিয়ে এগুচ্ছেন। মামলার শুনানিতেও চলছে আইনি যুদ্ধ ও কথার লড়াই।

 

 

সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) পলাতক আসামির পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ না থাকায় এক আইনজীবীকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন বিএনপির আইনজীবীরা। কিন্তু আদালত তা আমলে নেননি। তবে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন দলটির আইনজীবীরা।

 

 

 

এদিকে গত ৮ বছর এ মামলায় পক্ষভুক্ত হতে আবেদন না করলেও রুল শুনানির এক পর্যায়ে এসে একজন আইনজীবীকে দাঁড় করানোর চেষ্টায় বিএনপিরপন্থিরা। তবে তাদের এ আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

 

রিটকারীর আইনজীবীর দাবি, পলাতক আসামির পক্ষে মামলা লড়া যাবে না এটা জেনে অন্য আরেকজন আইনজীবীকে কৌশলে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে বিএনপির আইনজীবীরা। যে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

 

রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামির পক্ষে কোনো আদালতে কেউ কথা বলতে পারে না, কেউ আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারে না। কাজেই, তারা এ আবেদন করার মাধ্যমে তারেক রহমানের মতো পলাতক আসামির পক্ষে ওকালতি করার চেষ্টা করেছিল।

 

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আইনজীবী জানান, সামাজিক মাধ্যম থেকে তারেকের বক্তব্য সরাতে আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।

 

বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা ই রাকিব বলেন, বিটিআরসি যেহেতু এ মামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ। তাই যদি বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী বিটিআরসি এটি সমাধানের জন্য যা যা করা দরকার তা করতে পারবে।

এদিকে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

 

বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘নাম দিয়েছে পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন। আসলে এটি রাজনৈতিক মোড়কে আওয়ামী লীগ ইন্টারেস্ট লিটিগেশন। আমরা এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আপিল বিভাগে যাব। সেই পর্যন্ত যেন এ রিটের কোনো এক তরফা শুনানি না করা হয়।’

 

উল্লেখ্য, আইনের দৃষ্টিতে পলাতক হওয়ায় ২০১৫ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেন উচ্চ আদালত। সম্প্রতি সভা-সমাবেশে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার হলে মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন রিটকারীরা।