ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু

ফাইল ছবি

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা ফারজানা শারমিন তপি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর। শুক্রবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা তিনি।

ফারজানা শারমিনের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়ায়। তিনি প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখায় এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফারজানা শারমিন দৈনিক সমকালের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক জাহেদুল আলম রুবেলের সহধর্মিণী।

স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে স্বামী জাহেদুল আলম রুবেল বলেন, একটি মশা তার জীবনকে ওলটপালট করে দিল। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই জীবন থেকে ডেঙ্গু কেড়ে নিল ঘর আলো করে রাখা মানুষটিকে। এতিম হলো আমার দুই সন্তান।

তিনি আরও বলেন, আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকায় ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার আগে শরীর ব্যথার কারণে তিন দিন ঘুমাতে পারেনি শারমিন। এমন অবস্থায় গত সোমবার হালকা জ্বর দেখা দেয়। জ্বর নিয়ে অফিসও করে। মঙ্গলবার সকালে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। তবে অন্যান্য জটিলতা না থাকায় বাসাতেই ছিল। সন্ধ্যায় হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। 

তিনি আরও জানান, জটিলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউতে নেওয়া হয়। তার প্লাটিলেট নেমে যায় ১০ হাজারে। চিকিৎসক চার ব্যাগ প্লাজমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে বিভিন্ন সমস্যা থাকায় চারজনের প্লাজমা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন তারা। পরে একজনের প্লাজমা নেওয়া হয়। তবে প্লাজমা দিলেও তার শরীরে প্লাটিলেট বাড়াতে পারেনি। বুধবার দুপুরে ফারজানাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

চিকিৎসকরা জানান, উপসর্গ ছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন শারমিন। জ্বর চলে যাওয়ার পর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। তাই রক্তচাপ ও রক্তে অণুচক্রিকার পরিমাণ অতি দ্রুত কমে যায়। পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়ে পড়ে, রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। অন্য অঙ্গগুলো আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হতে থাকে। পেট ফুলে যায়। ফুসফুসে পানি ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। তারা এটিকে ডেঙ্গুর শক সিনড্রোম বলে জানান।