ইউনাইটেডের জয়ের দিনে আর্সেনালের হোঁচট

ইউনাইটেডের জয়ের দিনে আর্সেনালের হোঁচট

সংগৃহীত

ম্যাচের শুরুর মিনিটেই গোল হজম করে বসলো আর্সেনাল। ব্যতিক্রম হয়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বেলাতেও। চার মিনিটের ভেতর ২-০ গোলে পিছিয়ে যায় তারা। তবে শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে এরিক টেন হাগের দল। কিন্তু হোঁচট খেয়েছে আর্সেনাল। ফুলহ্যামের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে তারা।  

নটিংহ্যাম ফরেস্টকে ৩-২ গোলে হারায় ইউনাইটেড। অথচ ম্যাচে কী দারুণ শুরুই না পেয়েছিল নটিংহ্যাম। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দ্বিতীয় মিনিটে তাইয়ো আয়োনিয়ি ও চতুর্থ মিনিটে উইলি বোলি এগিয়ে দেয় তাদের। ঘরের মাঠে শুরুতে এমন ধাক্কা খেয়ে বুঝে উঠতে কিছুটা সময় লাগছিল ইউনাইটেড। তবে ঠিকই দাপট দেখাতে থাকে। বিরতির আগে এক শোধও দেয় তারা। ১৭ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের পাস থেকে ব্যবধান কমান ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন।

ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় দ্বিতীয়ার্ধে। ৫২ মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেসের ক্রস থেকে সমতা ফেরান কাসেমিরো। দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারা নটিংহ্যাম বিপদ ডেকে আনে এরপর। ৬৭ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হয় তারা। ৭৫ মিনিটে রাশফোর্ড ডি বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। স্পটকিক থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি ফের্নান্দেস। সেই গোলেই রোমাঞ্চকর জয়ের গল্প লিখে ইউনাইটেড। তিন ম্যাচ খেলে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।

আর্সেনাল ছিল টানা তৃতীয় জয়ের পথে। এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রথম মিনিটেই তাদের পিছিয়ে দেন আন্দ্রেস পেরেরা। এরপর প্রথমার্ধে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি আর্সেনাল। বিরতির পর দুই মিনিটের ভেতর এগিয়ে যায় তারা। ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান বুকায়ো সাকা। এর দুই মিনিট পর গানারদের এগিয়ে দেন এডি এনকেতিয়া। ৮৩ মিনিটে ফুলহ্যাম দশজনের দলে পরিণত হলে জয়ের কাজটা সহজই মনে হচ্ছিল স্বাগতিকদের জন্য। কিন্তু ৮৭ মিনিটে জোয়াও পালহিনিয়ার গোলে নাটকীয় ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফুলহ্যাম।

দিনের অপর ম্যাচে বোর্নমাউথকে ২-০ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম।