বায়ুদূষণে শীর্ষ তিনে ঢাকা

বায়ুদূষণে শীর্ষ তিনে ঢাকা

ফাইল ছবি

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষ ১০ এর মধ্যে উঠে এসেছে ঢাকা। ১৫৫ স্কোর নিয়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান শীর্ষ তিন নম্বরে। বায়ুর এই মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৮টায় আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক এই তথ্য জানিয়েছে।

আইকিউএয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরটির স্কোর ১৭৬। পাশাপাশি দ্বিতীয় অবস্থানে ১৬৩ স্কোর নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার পর শীর্ষ তিনে ১৫৫ স্কোর নিয়ে আছে রাজধানী ঢাকা। এছাড়া ১৪৮ স্কোর নিয়ে শীর্ষ চারে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা এবং পাঁচ নম্বরে ১৪৭ স্কোর নিয়ে অবস্থান করছে ভারতের কলকাতা।

এদিকে, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষ ছয়ে ১১৯ স্কোর নিয়ে আছে ভারতের দিল্লি। পাশাপাশি ১১৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষ সাত নম্বরে কানাডার ভ্যানকুভার এবং ১১১ স্কোর নিয়ে আট নম্বরে অবস্থান করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল। এছাড়া নয় নম্বরে ৯৪ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এবং শীর্ষ ১০ আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড, স্কোর ৯০।

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৫৫ স্কোর নিয়ে আজ ঢাকার অবস্থান শীর্ষ তিন নম্বরে। সংগৃহীত ছবি

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা ভালো থাকে।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।