ফরাসি সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিতে নাইজারে বিক্ষোভ

ফরাসি সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিতে নাইজারে বিক্ষোভ

সংগৃহীত

আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূত ও সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানী নিয়ামিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। দেশটির নতুন সামরিক শাসকরা ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তাদের দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ করার প্রেক্ষাপটে এই দাবি ওঠল।

বিক্ষোভকারীরা শনিবার ফরাসি সৈন্যদের একটি ঘাঁটির কাছে সমবেত হয়। তারা ‌'ফরাসি সেনাবাহিনী, আমাদের দেশ ছাড়ো' লেখা ব্যানার বহন করে।

গত ২৬ জুলাই নাইজারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। তারা দাবি করছে, ফরাসি সরকার তাদের ওপর নব্য উপনিবেশিক শাসন আরোপ করতে চাচ্ছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রাঁ ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে সমর্থন করেছেন এবং নতুন সামরিক সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এক সপ্তাহ আগে নাইজারের বর্তমান শাসকরা ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভিয়ান ইত্তেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগ করার নির্দেশ দিলেও তিনি এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন। ম্যাক্রোঁ বলেন, রাষ্ট্রদূতের অবস্থান অব্যাহত রাখাটা প্রশংসনীয় কাজ।

আল জাজিরা আহমদ ইদ্রিস রাজধানী নিয়ামি থেকে বলেন, বিক্ষোভকারীরা তাদের দেশে এখনো ফরাসি উপস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে এবং বিষয়টি নিজেদের হাতে নিতে চাচ্ছে।

নাইজারের ওই ঘাঁটিতে প্রায় ১,৫০০ ফরাসি সৈন্য রয়েছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফ্রান্স সম্ভবত সহজে নাইজার ত্যাগ করবে না। বিশেষ করে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মালি ও বুরকিনা ফাসো থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হওয়ার পর তারা নাইজার না ছাড়তেই বদ্ধপরিকর।

নিয়ামিভিত্তিক বিশ্লেষক ক্যান ওমারো বলেন, 'কূটনৈতিকভাবে সমস্যাটির সমাধান না হলে দুই পক্ষের মধ্যে সঙ্ঘাত সৃষ্টি হতে পারে।'

তিনি বলেন, 'সামরিক শাসক মনে করে, ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে চলে যেতে হবে। নয়তো তার সমর্থকদের চোখে তার দুর্বলতা প্রকটভাবে ফুটে ওঠবে। ফরাসি সরকার বৈধতার দাবি তুলে জান্তাকে ক্ষেপিয়ে তুলতে চাইছে।'
সূত্র : আল জাজিরা