টাঙ্গাইলে সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি, ২০ হাজার মানুষ ঘরবন্দি

টাঙ্গাইলে সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি, ২০ হাজার মানুষ ঘরবন্দি

সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাইসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। জেলার টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর ও কালিহাতী উপজেলার ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকারে সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা যায়। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে এসব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে ঘরবাড়ি, কবরস্থান, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের ভাঙন কবলিত মানুষ। এ ছাড়াও ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশের ফলে রোপনকৃত ধানের চারা ও বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

 

টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন জানান, টাঙ্গাইলে যমুনা নদীসহ জেলার ছোটবড় সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধারণা করছি, পানি বৃদ্ধি পেলেও বড় ধরণের বন্যার সম্ভাবনা নেই। তবে আরও কয়েকদিন যমুনাসহ জেলার অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহতের আশঙ্কা করছি।