ইরাকে তীব্র খরায় বন্ধ মাছের খামার

ইরাকে তীব্র খরায় বন্ধ মাছের খামার

সংগৃহীত

জাতিসংঘের র‌্যাংকিংয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যে পাঁচটি দেশের ওপর সবচেয়ে বেশি পড়েছে তার মধ্যে একটি ইরাক। গত চার বছরের খরায় ফেটে চৌচির হয়ে গেছে দেশটির ফসলের মাঠ।

প্রভাব পড়ে মত্স্য খামারগুলোতেও। পানি সংকট মোকাবিলায় জমিতে সেচসহ মত্স্যবাড়ি গুলোতেও পানির ব্যবহার সীমিতকরণের মতো কঠোর সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দেশটিতে। 

মে মাসের শেষের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অননুমোদিত মাছের খামার। আনুমানিক ৫ হাজার  লাইসেন্সবিহীন মাছের খামারের প্রায় অর্ধেক বন্ধ হয়ে গেছে। এএফপি।

ইরাকের মধ্য ব্যাবিলন প্রদেশের আল-বু মুস্তাফা গ্রামের বাসিন্দা ওমর জিয়াদ (৩৩) বলেন, আমি ২০০৩ সাল থেকে এই শিল্পে কাজ করছি। তার গ্রামের ৮০টি মাছের পুকুরের মধ্যে পাঁচটি ছাড়া বাকি সবগুলোই বন্ধ হয়ে গেছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জিয়াদের পরিবারের সাতটি মাছের পুকুর সিলগালা করে দিয়েছেন।

পুকুরগুলোতে কার্প জাতীয় মাছ চাষ হতো বলে জানান তিনি। সেসময় বিক্রিও হতো কম দামে। আর বর্তমানে মাছের খামার বন্ধ করে দেওয়ায় কার্প মাছের দাম প্রায় দ্বিগুণ।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খালেদ শামাল বলেন, প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে ইরাকের কৌশলগত পানির মজুদ এখন সর্বনম্নি পর্যায়ে। পানি সংকটের জন্য তিনি ইরাকের সাধারণ জনগণকেও কিছুটা দোষারোপ করেন। 

জানান, নিবিড় সেচ অনুশীলনের কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অননুমোদিত মাছের খামারের ওপর কঠোর ব্যবস্থা আরোপের সদ্ধিান্তকেও সমর্থন দেন শামাল। 

বলেন, খামারগুলো বাষ্পীয় ভবনের জন্য সংবেদনশীল পানির পৃষ্ঠকে বৃদ্ধি করে, মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি করে আর তা পরিবেশ দূষণে অবদান রাখে।' নদীতে ভ্রাম্যমাণ ‘ফিশ ট্যাঙ্ক' স্থাপনের অনুমতি কর্তৃপক্ষের রয়েছে বলে জানান তিনি।